কেন্দ্রীয় সংস্থা একাধিকবার সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে একাধিকবার তল্লাশি (ED Raid) চালিয়েছে। ইতিমধ্যে ক্যানিংয়ে সন্দীপ ঘোষের একটি বাংলোর হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও কলকাতা শহরে সন্দীপ ঘোষের নামে আরও দুটো ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। বেলেঘাটার যেখানে সন্দীপ ঘোষ থাকেন, তার অদূরেই রয়েছে তাঁর আরও দুটি ফ্ল্যাট। এছাড়াও গ্যারেজে রয়েছে একটি নতুন গাড়ি। তবে ইডি এখনও সেখানে তল্লাশি অভিযান (ED Raid) শুরু করেনি।
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সংলগ্ন একটি আবাসনে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে সন্দীপ ঘোষের নাম। সে কথা জানিয়েছেন আবাসনের কেয়ারটেকার। গ্রাউন্ড ফ্লোরের একটি ফ্ল্যাট তিনি অফিস হিসেবে ব্যবহার করতেন। এছাড়াও সেই আবাসনের তিন তলায় তাঁর একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। কেয়ারটেকার জানিয়েছেন, আবাসনে তিনি বেশি যেতেন না। খুব কম যেতেন। তবে সেখানে গেলে কিছুদিন মাঝে মাঝে থাকতেন। গ্যারেজে এসইউভি গাড়িটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে, তার বয়স বেশি নয়। কেয়ারটেকার বলেছেন, গাড়িটি তিন চার মাস আগে কেনা হয়েছে। তারপর থেকে বেলেঘাটার ওই আবাসনের গ্যারেজেই থাকতো। নতুন ফ্ল্যাটের দরজায় সন্দীপ ঘোষের নাম লেখা নেই। তবে গাড়িতে একাধিক ব্যাজ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে বেলেঘাটায় তাঁর বাড়ি থেকে পাঁচ মিনিটের দূরত্বে এই ফ্ল্যাটটি। এত ঘন ঘন ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, সন্দীপ ঘোষের স্ত্রীর নাম সঙ্গীতা। দুই জনের নামেই এই বিশাল বাংলো বাড়ির নামকরণ করা হয়েছে। কয়েক শো বিঘা জমির ওপর এই বাংলোর পাশাপাশি রয়েছে খামারবাড়ি।খামারবাড়ি তৈরি করেছেন স্থানীয় কয়েক জন যুবক। তবে সেই খামারবাড়ি পরিচালনা করতেন স্বয়ং সন্দীপ ঘোষ। এমনটাই জানাচ্ছেন স্থানীয় যুবকরা। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “কয়েকবছর আগে এই বাংলোটি তৈরি হয়। এই বাংলোটি সন্দীপ ঘোষের।”
শুক্রবার সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে ইডি আটক করে। তাঁকে নিয়ে ইডি ক্যানিংয়ের বাংলোতে যায়। সেখানেই তল্লাশি অভিযান শুরু করে ইডি। প্রসূন চট্টোপাধ্যা ডেটা এন্ট্রির কাজ করার পরেও কী করে এত ধনবান হলো সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইডি কেন তাঁকে নিয়ে সন্দীপ ঘোষের বাংলোতে হানা দিল, সেই নিয়েও জল্পনা দেখা দিয়েছে সাধরণ মানুষের মনে।