আরজি কর দুর্নীতিকাণ্ডে সাতসকালে ইডির(ED) তল্লাশি। শহরের ছ’টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা সুদীপ্ত রায়ের উত্তর কলকাতার বাড়ি ও নার্সিংহোমে তল্লাশি চলছে। বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে ঔষধ ব্যবসায়ীর বাড়িতেও হানা ইডির।
বৃহস্পতিবার বিটি রোডের পাশে শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। ফের মঙ্গলবার সকাল সকাল অ্যাকশন মোডে ইডি। আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
আখতার আলির অভিযোগের তদন্তে নেমে সন্দীপকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁকে দফায় দফায় জেরা করছে সিবিআই। এবার সেই সূত্র ধরেই আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির যিনি চেয়ারম্যান ছিলেন, সেই সুদীপ্ত রায়ের বাড়ি ও নার্সিংহোম ইডির স্ক্যানারে।
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন সকালে সেমিনার হল থেকে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র ছিলেন তিনি। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তরুণী চিকিৎসককে। ওই ঘটনার সময় আর জি করের অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলনে সরব হন পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিৎসকরা। পদত্যাগের দাবি জানান। টালমাটাল পরিস্থিতির মাঝে গত ১২ আগস্ট এই ঘটনার ‘নৈতিক দায়’ নিয়ে ‘স্বেচ্ছা’য় পদত্যাগ করেন অধ্যক্ষ সন্দীপ। যদিও তার কিছুক্ষণের মধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে তাঁকে ‘পুনর্বাসন’ দেওয়া হয়। সেখানেও প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। এর পর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে লম্বা ছুটিতে যেতে হয়েছে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। এর পরই তাঁর বিরুদ্ধে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। গ্রেপ্তারও করা হয় তাঁকে। দুর্নীতি মামলাতেই এবার নজরে সুদীপ্ত রায়।