খবর এইসময় ডেস্ক: এবার দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। একই সঙ্গে অভিযান চলছে বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়ের ফ্ল্যাট এবং উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতেও।
সূত্রের খবর, শুক্রবার ভোর ৬টা নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরা টোপে দমকল মন্ত্রীর শ্রীভূমির দুটি বাড়িতেই হানা দেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা।
সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে মন্ত্রীকে জেরা শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। পুরনিয়োগ দুর্নীতির তদন্তেই মন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছেছে ইডি (ED)। শুধু সুজিত বসু নয়, এদিন সকাল থেকে বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়ের বউবাজারের ফ্ল্যাট এবং উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির (ED) কর্তারা হানা দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
জানা যাচ্ছে, ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ তাপসবাবুর ফ্ল্যাটেও পৌঁছন তদন্তকা্রীরা। একই সময় ইডির(ED) একটি তদন্তকারী দল হানা দেয় উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তীর বিরাটির খলিসাকোটা পল্লির বাড়িতে। পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাপস এবং সুবোধবাবুর বিরুদ্ধে। নিজের ছেলে এবং মেয়েকে বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সুবোধের বিরুদ্ধে।
ইডি সূত্রের খবর, অয়ন শীলের বাড়ি থেকে প্রথম নিয়োগ দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গিয়েছিল।সেখানে একটি ফোল্ডার পাওয়া গিয়েছিল। ফোল্ডারে ছিল একটি নামের তালিকা। তাতেই সুজিত বসু, তাপস রায়, সুবোধ চক্রবর্তীদের নাম রয়েছে বলে তদন্তকারী সংস্থার দাবি।
তদন্তকারী সংস্থার আরও দাবি, উত্তর দমদমপুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালীন সুজিত বসুর সহকারী হিসেবে কাজ করতেন পুরকর্মী নিতাই দত্ত। সম্প্রতি নিতাইকে জেরা করেছিলেন তদন্তকারীরা। জেরায় নিতাইও সুজিত বসুর নাম উল্লেখ করেছিল এবং তারই ভিত্তিতে এদিনের অভিযান বলে সূত্র মারফত জানা যায়।
উল্লেখ্য ,গত শুক্রবার সন্দেশখালিতে অভিযান চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। মাথা ফেটেছিল তিন ইডি অফিসারের। সেদিনের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আজ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের হেলমেট পরে অভিযানে নামতে দেখা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় এজেন্সির অভিযান ঘিরে সাত সকালে আসরে নেমে পড়েছেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “অনেক রকম স্লোগান শুনেছি। এবার খেলা শুরু হয়ে গেছে।” যাঁরা দুর্নীতি করেছেন, তাঁরা কেউই ছাড়া পাবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দিলীপ। তবে শাসকদলের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।