খবরএইসময় ডেস্ক: শুরু হয়ে গেল তৃ়ণমূলপন্থী বুদ্ধিজীবী বনাম বিরোধী বুদ্ধিজীবী যুদ্ধ । শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) তদন্ত চলছে। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করে কোটি কোটি কালো টাকা, বিপুল সোনা ও একাধিক ভুয়ো কোম্পানি এবং বাগানবাড়ির খোঁজ মিলেছে । ধৃত তার বান্ধবী অর্পিতা। এমতবস্থায় এবার তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতার ঘনিষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের সম্পত্তি খতিয়ে দেখার জন্য ইডি তদন্তের আবেদন করলেন বিরোধী বুদ্ধিজীবীরা।
কলকাতা প্রেসক্লাবে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, যোগ্য চাকরী প্রার্থীদের অবিলম্বে নিয়োগ, দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আমরা চাই, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও যাঁরা চাকরি পাননি তাঁরা অন্তত চাকরিটা পান।
নাগরিক সমাজের বিবৃতি “২০১১ সালের পর থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে পরিকল্পিতভাবে এই দুর্নীতি সংগঠিত করা হয়েছে। তৃণমূলের নেতৃত্ব, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী-সহ অন্যান্যরা প্রকাশ্যেই বলেছেন যে, তৃণমূল করলে চাকরি পাওয়া যাবে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এই দুর্নীতি আসলে এই রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করার উদ্যোগ।”
এদিন সাংবাদিক সম্মেলন থেকে টেট চাকরি প্রার্থীদের অবস্থান পুলিশের জোর করে ভেঙে দেওয়ার তীব্র সমালোচনা করা হয় । শিক্ষাক্ষেত্রে বেলাগাম দুর্নীতিতে সরব হয়েছে এই অভিযোগে সাংবাদিক বৈঠকে ফের একবার পরিবর্তনের ডাক দিলেন শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার। তিনি বলেন, বাংলার সরকারকে আবার পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যেতে হবে। ছোট ছোট ঘটনার মধ্যে দিয়ে সেই চেষ্টা সফল হবে।
তাঁর বক্তব্য, রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্র থেকে সর্বত্র দুর্নীতির ছবি দেখা গিয়েছে। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, টেট, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং কলেজ সার্ভিস কমিশনেও দুর্নীতি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গত ১০ বছর ধরে যারা এই পশ্চিমবঙ্গে শাসন করছে তাদের মজ্জায় যে দুর্নীতির ঘুণ ধরে গেছে, তা প্রকাশ পাচ্ছে। সিবিআই, ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা সৎ ভাবে কাজ করছে। কিন্তু এগুলো নিয়েও সন্দেহ হয়। কখন বুঝি সেটিং হয়ে যায়। কখন একটু ঢিলে পড়ে। তখন আসল অপরাধীদের এড়িয়ে চুনোপুঁটিদের ধরা হয়। এ সব নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। তা সত্ত্বেও যতটা উদ্ঘাটন হয়েছে, তার জন্য আদালত এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকেও অভিনন্দন জানাই।