টেসলা এবং স্পেসএক্সের সিইও এলন মাস্ক (Elon Musk’s Mars Mission) আগামী বছর মঙ্গল গ্রহে রকেট পাঠানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। শনিবার এক সাক্ষাৎকারে, তিনি বলেন, স্পেসএক্সের স্টারশিপ এবং হেভি বুস্টার ২০২৬ সালের মধ্যে মঙ্গলে উৎক্ষেপণ করা হতে পারে, যা মানুষের মঙ্গল অভিযানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এলন মাস্কের এই ঘোষণা(Elon Musk’s Mars Mission) আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা সম্প্রদায়ের জন্য একটি বড় উত্তেজনার বিষয়, বিশেষত যখন তিনি জানান যে, ২০৩১ সালের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে মানুষের অবতরণ সম্ভব হতে পারে। মাস্কের মতে, ২০২৯ সালের মধ্যে যদি মঙ্গল গ্রহে অবতরণ ভালোভাবে সম্পন্ন হয় এবং গ্রহটি মানুষের বসবাসের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করে, তবে তখন ২০৩১ সালেই প্রথম মানব অভিযাত্রীরা মঙ্গল গ্রহে পা রাখতে পারে।
স্টারশিপের বিশাল পরিকল্পনা: মঙ্গল অভিযানে বিশাল পদক্ষেপ
স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেটটি ৩০ ফুট প্রস্থ এবং ৩৯৭ ফুট দীর্ঘ, যা তার বিশাল আকারের কারণে এই মহাকাশযানটি মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসবাস এবং দীর্ঘস্থায়ী অভিযানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। স্টারশিপের দুটি প্রধান অংশ রয়েছে – একটি সুপার হেভি বুস্টার এবং স্টারশিপ মহাকাশযান। সুপার হেভি বুস্টারটি রকেটটির প্রথম পর্যায়ের একটি বিশাল বুস্টার, যা মহাকাশে পৌঁছানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্টারশিপটি ৫০ মিটার দীর্ঘ একটি মহাকাশযান, যা মঙ্গল গ্রহে যাত্রী এবং যন্ত্রপাতি পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হবে।
এলন মাস্ক গত বছর X-তে শেয়ার করেছিলেন যে তার লক্ষ্য দশ লক্ষ মানুষকে মঙ্গল গ্রহে নিয়ে যাওয়ার। এই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা মানবজাতির জন্য এক নতুন যুগের সূচনা হতে পারে, যেখানে মঙ্গল গ্রহে মানব বসতির ধারণা বাস্তবে পরিণত হবে।
মঙ্গল অভিযানে মানব বসতি: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
এলন মাস্কের পরিকল্পনা যদি সফল হয়, তবে এটি শুধুমাত্র মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এক নতুন মাইলফলক হবে না, বরং এটি মানব সভ্যতার ভবিষ্যতের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ হতে পারে। যদিও মঙ্গল গ্রহের পরিবেশ মানব বসবাসের জন্য চ্যালেঞ্জিং, তবে এই অভিযানে সফল হলে তা মানবজাতির জন্য বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করবে।
এদিকে, মঙ্গল গ্রহে মানুষের অবতরণ সফল হলে, সেখানে স্থায়ী বসবাস এবং গবেষণা কার্যক্রম চালানো সম্ভব হবে। এই অভিযানটি শুধু স্পেসএক্সের জন্য নয়, বরং গোটা পৃথিবীর জন্য একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হতে পারে।
এলন মাস্কের এধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে, মানব ইতিহাসে এটি এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে, যেখানে মহাকাশে মানুষের বসতি স্থাপন করা সম্ভব হবে।