খবরএইসময়, নিউজ ডেস্কঃ এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতির অন্যতম আলচিত বিষয় হচ্ছে নেতাদের দল বদল। যার নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূলের বহু নেতার দলত্যাগ। দিন দুই সময়ের মধ্যে রাজ্যের শাসকদলের বহু নেতা পদত্যাগ করেছেন। যাদের বিজেপি যোগের জল্পনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তেমনই একজন হলেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত।
গত ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে নিজের লিভার প্রতিস্থাপনের সময় কয়েক লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন দলীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে।শীলভদ্র জানিয়েছিলেন, দলীয় নেতা কর্মী থেকে বিভিন্ন মহলের শুভানুধ্যায়ীরা সেই সময় সাহায্যের হাত না বাড়ালে তাঁর বেঁচে ফেরা হত না। অর্থ ঋণ নেওয়ার তালিকায় যারা ছিলেন বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা হলেন, ব্যারাকপুরের পুর প্রশাসক উত্তম দাস, তৃনমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, নারায়ণ গোস্বামী দের মত তৃণমূল নেতা ।
তবে সুস্থ্য হয়ে বছর কাটতে না কাটতে তৃণমূল দলের কোনো নেতার ঋণ আর বাকি রাখবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে কড়ায় গন্ডায় দলের নেতাদের কাছে নিজের চিকিৎসার সময় ধার নেওয়া প্রতিটি পাই পয়সা অতি দ্ৰুত শোধ করতে নেমে পড়েন শীলভদ্র দত্ত ।
যার প্রথম ধাপ হিসেবে, গত বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুরের তৃণমূল নেতা উত্তম দাসের দু লক্ষ টাকা পরিশোধ করেন তিনি। এদিকে শীলভদ্র দল ছাড়বেন এমন গুঞ্জন বহুদিন ধরেই মুখরিত। যার ফলে ব্যারাকপুরের এই বিদ্রোহী বিধায়কের, দলের নেতাদের বকেয়া ঋণ শোধ করাটা নিছক তৃণমূল থেকে দূরত্বের নতুন মাইলফলকের মধ্যে দিয়ে পুরনো দল তৃণমূলের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ত্যাগ করার নতুন গুঞ্জন বলে মনে করতে শুরু করেন রাজনৈতিক মহল।
এরপর বৃহস্পতিবারের নতুন গুঞ্জনের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই শীলভদ্র নিজেই বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূলের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা , সেই সঙ্গে দলের আরও যে সকল সদস্য তাঁকে করা হয়েছিল সেখান থেকেও অব্যাহতি চেয়ে ইমেইল মারফৎ জানিয়ে দেন। পাশাপাশি শুক্রবার সকালে শীলভদ্রের নিজের লেটার হেডে লিখিত অফিসিয়াল চিঠি পাঠান।