গত বিশ্বকাপের রানার্সআপ ফ্রান্স চলতি ইউরো কাপে (Euro Cup) অন্যতম ফেবারিট দল। কিন্তু ২৪ বছর হয়ে গেলেও ইউরোর শিরোপা জেতা হয়নি তাদের। দুইবারের বিজয়ীরা সেই খরা কাটানোর লক্ষ্য নিয়ে গতকাল মাঠে নেমেছিল অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে। প্রতিপক্ষের ভুলে কোনোমতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফরাসিরা। এমন জয়ের ম্যাচে ফ্রান্সের কোচ হিসেবে রেকর্ড গড়লেন দিদিয়ের দেশঁ। ফ্রান্সের কোচ হিসেবে এটি তার ১০০তম জয়।
গতকাল অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে ১-০ গোলের জয় পেয়েছে ফ্রান্স। তবে ফ্রান্স দলের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সবচেয়ে বড় তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের চোটে পড়া। ম্যাচ শেষের কিছুক্ষণ আগে অস্ট্রিয়ার এক ডিফেন্ডারের কাঁধে লেগে এমবাপ্পের নাক ফেটে যায়। রক্তে মাখা মুখ নিয়েই মাঠ ছাড়েন সদ্য রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়া এই ফরাসি তারকা।
এর আগে, ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায় ফ্রান্স। রাবিওর পাস ধরে বক্সে ঢুকে শট নেন এমবাপ্পে, ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান গোলরক্ষক পাত্রিক পেন্স। শুরুতে ফরাসিদের আধিপত্যের পর পাল্টা আক্রমণে উঠতে শুরু করে অস্ট্রিয়া। পরিষ্কার সুযোগ যদিও তারা তৈরি করতে পারছিল না, তবে প্রতিপক্ষের রক্ষণের ভালোই পরীক্ষা নিচ্ছিল। ম্যাচের ৩৮তম মিনিটে আত্মঘাতী হয়ে ওঠে অস্ট্রিয়া। পরপর দুটি ভুলে হজম করে গোল। নিজেদের ডি-বক্সের পাশে অস্ট্রিয়া পজিশন হারালে সতীর্থের পা ঘুরে বল পেয়ে এমবাপ্পে বক্সে ঢুকে পড়েন। এরপর দুজনের বাধা এড়িয়ে গোলমুখে গ্রিজমানকে খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু মাঝপথে হেডে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে পাঠিয়ে দেন ডিফেন্ডার মাক্সিমিলিয়ান উবা। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ফ্রান্স। এরপর ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে গোলের দারুন সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি এমবাপ্পে। সতীর্থের বাড়ানো পাস থেকে গোলরক্ষককে একা পেয়েও অবিশ্বাস্যভাবে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন বিশ্বকাপজয়ী তারকা। পরপর দুই মিনিটে নিশ্চিত আরও দুটি সুযোগ পায় ফ্রান্স। কিন্তু কোনোটিতেই গোলের দেখা পায়নি তারা।
ম্যাচের ৮৫ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় ফ্রান্স। গ্রিজম্যানের ক্রস হেড করতে গিয়ে এমবাপ্পের নাক লাগে অস্ট্রিয়ার ডিফেন্ডারের কাঁধে। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ২৫ বছর বয়সী এই তারকা। ফ্রান্সের মেডিকেল দল এসে দেখেন নাক ফেটে রক্ত বের হচ্ছে। তার কিছুক্ষণ পর মাঠ ছাড়েন তিনি। রেফারির অনুমতি ছাড়া চোট নিয়েই মাঠে প্রবেশ করায় হলুদ কার্ডও দেখেন এমবাপ্পে।