শেষ ষোলো (Euro Cup) নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় শুরুর একাদশে একাধিক পরিবর্তন এনেছিলেন পর্তুগালের কোচ। অধিনায়ক রোনাল্ডো অবশ্য ছিলেন প্রথম একাদশেই। জর্জিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ৯১ সেকেন্ডের মাথায় গোল হজম করে পর্তুগাল। দ্বিতীয়ার্ধে জর্জিয়া করে আরও এক গোল। বুধবার রাতে ইউরোতে জর্জিয়া ২-০ গোলের স্মরণীয় জয় পেয়েছে পর্তুগালের বিরুদ্ধে। তাতে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবার খেলতে এসেই শেষ ষোলোতে উঠলো দলটি।
জর্জিয়া লিখলো নতুন ইতিহাস। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থানের হিসেবে ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অঘটনের জন্ম দিল ৭৪তম স্থানে থাকা জর্জিয়া, হারিয়ে দিল তাদের চেয়ে ৬৮ ধাপ এগিয়ে ষষ্ঠ স্থানের দল পর্তুগালকে। একই সময়ে শুরু ‘এফ’ গ্রুপের আরেক ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্রকে ২-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ ষোলোতে উঠেছে তুরস্ক। গ্রুপ পর্ব শেষে পর্তুগাল ও তুরস্কের পয়েন্ট সমান ৬ করে, তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে সেরা পর্তুগিজরা। আর ৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় জর্জিয়া, সেরা চার তৃতীয় দলের একটি হয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে।
এদিন ম্যাচের প্রায় শুরুতে ৯১ সেকেন্ডে মাঝমাঠে প্রতিপক্ষের ভুলে বল পেয়ে পাল্টা আক্রমণ করে জর্জিয়া। সতীর্থের পাস ধরে দারুণ গতিতে সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে, বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে চমৎকার গোলটি করেন ফরোয়ার্ড খাভিচা কাভারাৎসখেলিয়া। ১৬ মিনিটে ফ্রি কিকে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের পরীক্ষা নেন রোনাল্ডো। সিআরসেভেনের শট পাঞ্চ করে ফেরান জর্জিয়ার গোলকিপার। ২৮ মিনিটে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ফাউলের আবেদন করে না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রদর্শন করেন রোনাল্ডো, দেখেন হলুদ কার্ড।
৫৫ মিনিটে ডি-বক্সে ঢুকে আন্তোনিও সিলভার ফাউলের শিকার হন জর্জিয়ার লুকা লোকোশভিলি। ঘটনাটি রেফারির চোখ এড়িয়ে গেলেও, ভিএআরের নজর এড়ায়নি। পরে মনিটরে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। দারুণ স্পট কিকে ব্যবধান বাড়ান জর্জেস মিকাউতাদজে। ৬৬ মিনিটে রোনাল্ডোকে তুলে নেন কোচ, নামান গনসালো রামোসকে। সেই সময়ও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় রোনাল্ডোকে। কোয়ার্টার-ফাইনালে পর্তুগালের প্রতিপক্ষ স্লোভেনিয়া। আর জর্জিয়া খেলবে তিনবারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন স্পেনের সঙ্গে।