টাইব্রেকারে পর্তুগালকে ৫-৩ ব্যবধানে হারিয়ে ইউরোর সেমিফাইনালে উঠে গেল ফ্রান্স। আর তাতে ইউরো (Euro Cup) অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটলো ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। আগের ম্যাচে তিনটি শট বাঁচানোর নায়ক দিয়োগো কস্তা এ দিন একটিও ফেরাতে পারেননি। উল্টো সুযোগ নষ্ট করে পর্তুগীজদের খলনায়ক জোয়াও ফেলিক্স।
ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল রোনাল্ডো বনাম এমবাপ্পে। কিন্তু তা দেখা যায়নি মাঠের খেলায়। মন ভরাতে পারেন নি কেউই। এমবাপ্পের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের পর তাকে তুলে নেন ফরাসি কোচ।
ম্যাচের শুরু থেকে বল নিজেদের পায়ে রেখে আক্রমণে উঠছিল ফ্রান্স। শুরুর কয়েক মিনিট পর্তুগালকে দাঁড়াতে দেয়নি তারা। রবার্তো মার্তিনেসের দল ব্যস্ত ছিল বল ক্লিয়ার করতেই। ধীরে ধীরে খেলায় দখল নিতে শুরু করে পর্তুগাল। তবে ফ্রান্সের মতো আক্রমণে ওঠার বদলে তারা নিজেদের মধ্যে পাস খেলে খেলার গতি কমিয়ে দেয়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আচমকা চোট পান এমবাপ্পে। পর্তুগালের এক ফুটবলারের হেড লাগে তাঁর মাথার পাশে। ফেস গার্ড খুলে ফেলে বার বার নাকে হাত বোলাতে থাকেন। অনেকেই আশঙ্কিত হয়েছিলেন ভেবে যে পুরনো জায়গায় চোট লাগল কি না। তবে কিছু ক্ষণের মধ্যেই আবার ফেস গার্ড পরে মাঠে নামতে দেখা যায়। ৫৯ মিনিটের মাথায় ভাল জায়গায় বল পেয়েও সোজা গোলকিপারের দিকে মারেন ব্রুনো। ফিরতি বলে সুযোগ নষ্ট করেন জোয়াও ক্যানসেলো।
৬৪ থেকে ৭০ মিনিটের মধ্যে দুই দলের কাছেই গোল করার সুযোগ এসেছিল। প্রথম মিস্ করে পর্তুগাল। ভিটিনহার শট বাঁচিয়ে দেন ফ্রান্সের গোলকিপার মাইক মাইগনান। দু’মিনিট পরে মিস্ করেন কোলো মুয়ানি। পিছন থেকে ভেসে আসা বলে শট নিয়েছিলেন। বিশ্বকাপ ফাইনালে তা বাঁচিয়েছিলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। এ বার পর্তুগালকে বাঁচায় রুবেন দিয়াসের পা। মিনিট চারেক পরে ওসমান দেম্বেলে দু’ফুট দূরে একা গোলকিপারকে পেলেও বাইরে মারেন। অতিরিক্ত সময়ের শুরুর দিকে রোনালদোও একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারেই নির্ধারিত হয় খেলার ফল। সেমিতে স্পেনকে মোকাবেলা করতে হবে ফ্রান্সকে।