২০২১ নেশনস লিগের ফাইনালে স্পেনকে কাঁদিয়েছিল ফ্রান্স। সেই হারের প্রতিশোধ নিয়ে ফ্রান্সকে বিদায় করে দিয়ে ইউরোর (Euro Cup) ফাইনালে পৌঁছে গেল স্পেন। মিউনিখের অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনা ঠাসা দর্শকের সামনে এমবাপেদের ২-১ গোলে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো ইউরোপ সেরা হতে বার্লিনের মঞ্চে নামা নিশ্চিত করেছেন ইয়ামাল-ওলমোরা। সেমিফাইনালে মিউনিখ উপভোগ করল জমজমাট একটা সেমিফাইনাল। ম্যাচে প্রথমার্ধের ২৫ মিনিট না পেরোতেই ৩ গোল করেছে দুই দল। আর তাতেই নির্ধারিত হয়েছে ম্যাচের ভাগ্য।
ম্যাচের (Euro Cup) শুরুতেই দাপট দেখাতে শুরু করে বিশ্বকাপ রানার্স ফ্রান্স। অষ্টম মিনিটে র্যান্ডাল কোলো মুয়ানির গোলে এগিয়ে যায় দিদিয়ের দেশঁ-এর দল। বাম প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠেছিল ফ্রান্স। সেখান থেকে বক্সে ঢুকে পড়েন কিলিয়ান এমবাপ্পে। জেসুস নাভাসকে পরাস্ত করে দেন মাপা এক ক্রস। তাতে মাথা ছুঁইয়ে স্কোর করেন কোলো মুয়ানি। গোটা টুর্নামেন্টে ছন্দে থাকা স্পেনকে রেকর্ড গড়ে সমতায় ফেরান লামিন ইয়ামাল। ম্যাচের ২০ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শটে স্কোরলাইন ১-১ করেন বার্সেলোনার এই তরুণ। এই গোলে ২০ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে ইউরোয় সবচেয়ে কম বয়সে গোলের কীর্তি নিজের করে নেন ইয়ামাল।
১৬ বছর ৩৬২ দিন বয়সে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ টুর্নামেন্টে গোল করলেন ইয়ামাল। তার আগে সবচেয়ে কম বয়সে গোল ছিল সুইজারল্যান্ডের জনাথন ভনলাথেনের। ২০০৪ সালে করা তার গোলটিও ছিল ফ্রান্সের বিরুদ্ধেই।
প্রথম গোলের পর আরও তীব্র আক্রমণে যায় স্পেন। ২৫ মিনিটে জেসুস নাভাসের বাড়ানো বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন ফ্রান্সের ডিফেন্ডাররা, ফাঁকায় বল পেয়ে তা জালে জড়ান দানি ওলমো। চার মিনিটের ব্যবধানে ম্যাচে লিড নিয়ে নেয় লুইস দে লা ফুয়েন্তের স্পেন।
প্রথমার্ধের (Euro Cup) শেষদিকে আক্রমণের ধার বাড়ায় ফ্রান্স। কয়েকবার বিপজ্জনক জায়গা থেকে ফ্রি-কিকও পায় তারা। তবে সেসব কাজে লাগাতে পারেননি ইউরোয় ফ্লপ এমবাপ্পে ও তার সতীর্থরা। দ্বিতীয়ার্ধেও গতিময় আক্রমণে স্পেনের রক্ষণকে চ্যালেঞ্জ জানায় তিনবারের চ্যা্ম্পিয়নরা। তবে স্প্যানিশ দেয়াল আর ভাঙা সম্ভব হয়নি। আর সেই সঙ্গে শেষ হয়ে যায় এবারের ইউরোয় ফ্রান্সের পথচলা।