ইতালির (Euro Cup) বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও হারতে হয়েছিল। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধেও সেই একই ফল হতে পারত। কিন্তু লড়াই ছাড়ল না আলবেনিয়া। পিছিয়ে পড়েও ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ড্র করল তারা। প্রথমে ১১ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় আলবেনিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে তিন মিনিটের ঝড়ে জোড়া গোল করে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। অতিরিক্ত সময়ে আবার গোল করে আলবেনিয়া। শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে খেলা শেষ হয়।
ড্র হলেও গোটা ম্যাটে টান টান লড়াই হল। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়লেন না। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ড্র করে ইউরোতে টিকে রইল আলবেনিয়া। চাপ বাড়ল ক্রোয়েশিয়ার উপর। দুই দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচ হেরেছিল। তাই এই ম্যাচে জয় দরকার ছিল তাদের। সেই কারণ, শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে ক্রোয়েশিয়া ও আলবেনিয়া। খাতায়-কলমে ক্রোয়েশিয়া শক্তিশালী হলেও আলবেনিয়াকে দেখে মনে হচ্ছিল, বিনা লড়াইয়ে হার মানবে না তারা। ১১ মিনিটের মাথায় ক্রোয়েশিয়াকে ধাক্কা দেয় আলবেনিয়া। আসানির ক্রস ধরে বক্সের ভিতর থেকে হেড করেন কাজ়িম লাসি। বল মাটিতে পড়ে লিভাকোভিচের হাতের তলা দিয়ে গোলে ঢুকে যায়। তার মানের গোলরক্ষকের এই ধরনের গোল খাওয়া উচিত হয়নি। গোল খাওয়ার পরে শোধ করার জন্য আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় ক্রোয়েশিয়া। মদ্রিচ, পেরিসিচেরা অনেক বেশি আলবেনিয়ার বক্সে ঢুকতে শুরু করেন। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারছিলেন না তারা। কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে আলবেনিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আলবেনিয়াকে চাপে রাখে ক্রোয়েশিয়া। সেটা ফলও তারা পায় ৭৪ মিনিটে সমতা ফেরান ক্রামারিচ। আলবেনিয়ার ডিফেন্সকে কাটিয়ে ক্রামারিচের দিকে বল বাড়ান সুচ্চি। ঠান্ডা মাথায় প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের পায়ের ফাঁক দিয়ে গোল করেন ক্রামারিচ। দু’মিনিট পরেই এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। তার জন্য দায়ী আলবেনিয়ার রক্ষণ। এ বার বক্সে ঢুকে সুচিচের দিকে বল বাড়ান ক্রামারিচ। সুচিচের শট আলবেনিয়ার ডিফেন্ডার ক্লস জাসুলার পায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। কিছু করার ছিল না গোলরক্ষক স্ট্রাকোসার। আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে আলবেনিয়া। তবে শেষ বেলায় গিয়ে সেই পাপমোচন করেন জাসুলা। অতিরিক্ত করা সময়ে গোল করে সমতায় ফেরান আলবেনিয়াকে।