পাকিস্তানের শহর করাচিতে বোমা বিস্ফোরণের (Explosion in Pakistan) ঘটনায় দুজন চিনা নাগরিকসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত আরও ১০ জন আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলি। গত রবিবার রাতে করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে পাকিস্তান ও চিনের মধ্যে। এ ঘটনাকে সন্ত্রাসবাদী হামলা বলে চিহ্নিত করেছে পাকিস্তানে অবস্থিত চিনা দূতাবাস।
হামলার প্রকৃত কারণ সম্পর্ক এখনো নিশ্চিত না হওয়া যায়নি। তবে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া উল হাসান লাঞ্জারের সন্দেহ, ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (Explosion in Pakistan) ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে। পরে ইমেইলে পাঠানো বিবৃতিতে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী বালুচ লিবারেশন আর্মি। ইঞ্জিনিয়ার সহ চিনা নাগরিকদের উদ্দেশ্য করে এই হামলা চালানোর দাবি গোষ্ঠীটির।
চিনা দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়, বিমানবন্দরের কাছে পোর্ট কাশিম ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানির গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা (Explosion in Pakistan) চালানো হয়েছে। পাকিস্তানে অবস্থিত চিনা দূতাবাস ও কনস্যুলেট জেনারেলের কার্যালয় এই সন্ত্রাসবাদী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
আফগানিস্তান ও ইরানের সীমান্তবর্তী বালুচিস্তান প্রদেশ পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। বিএলএ এই প্রদেশের স্বাধীনতা চায়। আগস্টে দলটির সমন্বিত আক্রমণে ৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আরব সাগরের কৌশলগত বন্দর গোয়াদারের মতো যেসব ক্ষেত্রে চিনের স্বার্থ রয়েছে, সেগুলো লক্ষ্যবস্তু করে থাকে বিএলএ। এর আগেও চিনা কর্মকর্তাদের হত্যা ও করাচিতে বেইজিং কনস্যুলেটে হামলা (Explosion in Pakistan) চালিয়েছে গোষ্ঠীটি। তাদের অভিযোগ, বালুচিস্তানকে শোষণ করতে ইসলামাবাদকে সহায়তা করছে বেইজিং।
প্রাথমিক খবরের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, একটি তেলের ট্যাংকার বিস্ফোরিত (Explosion in Pakistan) হয়। এতে ঘটনাস্থলে থাকা অন্য কয়েকটি গাড়িও ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এরই মধ্যে হামলার বিষয়ে তদন্তের ঘোষণা করেছে পাকিস্তান সরকার। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া উল হাসান। হামলার পর অঞ্চলটির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।