হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে তীব্র অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছে (Fake currencies)। ইসকনের বাংলাদেশ শাখার সদস্য চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর থেকেই সে দেশে কার্যত বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে সে দেশে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে আরও সক্রিয় হয়েছে পাচার চক্র (Fake currencies)। বৃহস্পতিবার সকালে ধর্মতলার বাস স্ট্যান্ড থেকে বিপুল পরিমাণে জাল নোট (Fake currencies) উদ্ধার করা হয়েছে। এসটিএফ অভিযান চালিয়ে এই জাল নোট (Fake currencies) উদ্ধার করা হয়েছ। এসটিএফ প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে, বাংলাদেশ থেকে এই জাল নোট (Fake currencies) কলকাতায় পাচার করা হচ্ছিল।
এসটিএফের কাছে খবর ছিল, শহরে জাল নোট পাচার চক্র আগের থেকে সক্রিয় হয়েছে। কলকাতায় জাল নোট পাচারের একটি পরিকল্পনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকে এই নোট কলকাতায় আসছে বলেও এসটিএফের কাছে খবর ছিল। সেই মতো বৃহস্পতিবার সকালে এসটিএফের গোয়েন্দারা ধর্মতলার বাসস্ট্যান্ডে হাজির হন। উত্তরবঙ্গ থেকে একটি বাস ডিপোয় ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা তল্লাশি চালান। এক যাত্রীর ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ জালনোট। সবই ছিল ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল। দেখা গিয়েছে, তিন লক্ষ টাকার জাল নোট ছিল। ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নোটগুলো কোথা থেকে আসছিল, কোথায় পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল, তা তদন্ত করে দেখছে এসটিএফ। তবে প্রাথমিক তদন্তে এসটিএফের গোয়েন্দারা মনে করছেন, এই পাচারের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগ রয়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতা হয়ে অন্য রাজ্যে এই জাল নোট পাচারের পরিকল্পনা ছিল না, গোয়েন্দারা তাও খতিয়ে দেখছে।
ঘটনায় এক ব্যক্তিকে এসটিএফ গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, আটক ব্যক্তি মালদহের বৈষ্ণবনগরের বাসিন্দা। তিনি কালিয়াচক থেকেই ধর্মতলার বাসে উঠেছিলেন। তবে এই জাল নোট কার কাছে পাচারের কথা ছিল, সেই বিষয়ে আটক ব্যক্তি মুখ খোলেনি বলেই জানা গিয়েছে। তবে আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করে সমস্ত তথ্য জানার চেষ্টা করছেন এসটিএফের আধিকারিকরা।