সংশোধনাগারের ভিতরেই অন্ত:স্বত্ত্বা হয়ে পড়ছেন মহিলা বন্দীরা(Female Prisoners Getting Pregnant)। রাজ্যের বিভিন্ন কারাগারে ১৯৬ জন শিশু জন্ম নিয়েছে। এই রিপোর্ট বেরিয়ে আসার পর সুপ্রিম কোর্ট সিনিয়র আইনজীবী গৌরব আগরওয়ালকে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবং রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে।
খবর এইসময় ডেস্কঃ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমবঙ্গের জেলে বন্দি কয়েকজন মহিলা বন্দীর গর্ভধারণ (Female Prisoners Getting Pregnant)-এর বিষয়টি সামনে এনেছে। বিষয়টি তদন্ত করতে সম্মত হয়ে বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চ সিনিয়র আইনজীবী গৌরব আগরওয়ালকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবং একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে। আগারওয়াল কারাগার সংক্রান্ত মামলায় অ্যামিকাস কিউরি হিসাবে শীর্ষ আদালতকে সহায়তা করছেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট মহিলা বন্দীর গর্ভধারণ (Female Prisoners Getting Pregnant) মামলার ফৌজদারি বেঞ্চে স্থানান্তর করার নির্দেশ দিয়েছে যেখানে অ্যামিকাস কিউরি দাবি করেছিলেন যে পশ্চিমবঙ্গের সংস্কার সংশোধনাগারে কিছু মহিলা বন্দী গর্ভবতী(Female Prisoners Getting Pregnant) হচ্ছেন এবং ১৯৬ জন শিশু এই ধরনের বিভিন্ন সুবিধায় বসবাস করছে।
অ্যাডভোকেট তাপস কুমার ভঞ্জ, যিনি ২০১৮ সালের সুওমোটো মোশনে আদালতের দ্বারা অ্যামিকাস কিউরি নিযুক্ত হয়েছিলেন, প্রধান বিচারপতি টিএস শিবগ্নানামের নেতৃত্বে একটি ডিভিশন বেঞ্চের সামনে এই সমস্যাগুলি এবং পরামর্শগুলি সম্বলিত একটি নোট জমা দিয়েছিলেন।মাথায় রাখলে বিষয়টি সহজেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, ওই নারী প্যারোলে বাড়ি গেছেন কি না তাও দেখতে হবে।
প্রতিবেদনের জেরে আলোড়ন পড়ে যায় কারা অধিদপ্তরে
সূত্রের খবর, আলিপুর মহিলা জেলে প্রেসিডেন্সি, বারুইপুর, হাওড়া, হুগলি ও উলুবেড়িয়া জেল এলাকার মহিলা বন্দীরা থাকেন। তদুপরি, কেন্দ্রীয় সংশোধন কেন্দ্র বা দমদম, মেদিনীপুর, বহরমপুর, বর্ধমান, বালুরঘাটের মতো কারাগারে বা একাধিক জেলা কারাগারে পুরুষ ও মহিলাদের আলাদা করা হয়, এমনকি একটি কমপ্লেক্সে থাকলেও। যে কোন কারণে মানুষ একে অপরের কাছাকাছি আনা হলে কারারক্ষীদের সর্বদা উপস্থিত থাকতে হয়। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায় এটা কিভাবে হলো? এরই মধ্যে বিরোধীরা এ নিয়ে সোচ্চার হতে শুরু করেছে। বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্র পাল জানিয়েছেন, এই বিষয়টি শীঘ্রই বিধানসভায় তোলা হবে।