নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুর: ব্যারাকপুর মহকুমায় ঘোষপাড়া রোড মূলত লাইফ লাইন। সেই লাইফ লাইন দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়েছিল। রাস্তা ঘুরে দেখা গেল ঘোষপাড়া রোডের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে মূলত ব্যারাকপুর স্টেশন থেকে ইছাপুর কণ্ঠাধার চৌমাথা পর্যন্ত ৪ কিলোমিটারের অবস্থা খুবই খারাপ। এছাড়া শ্যামনগর চৌরঙ্গী মোড়, আতপুর ফাঁড়ি ও পেট্রোল পাম্পের কাছে, ভাটপাড়া ও হালিশহরে কিছু অংশে রাস্তায় গর্ত তৈরি হয়েছে।
এই রাস্তা সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে অবরোধ হয়েছে। পূর্ত দপ্তর সূত্রে খবর, ২০১৮-১৯ সালে এই রাস্তা সংস্কারের টেন্ডার হলেও অর্থ দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন না মেলায় এতদিন পূর্ণাঙ্গ কাজ করা যায়নি। তার পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন মহলের তরফে এই রাস্তা সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তদবির করা হয়।
নোয়াপাড়ার বিধায়িকা মঞ্জু বসু এবং ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী দুজনেই মাননীয় পূর্তমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়ার জন্য। বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী ব্যক্তিগতভাবে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের সাথেও যোগাযোগ করেন যাতে এই প্রকল্পের অনুমোদন তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়। নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিকও বিষয়টি নিয়ে পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিভিন্ন মহলে তদবির তদারকির পর কিছুদিন আগে অর্থ দপ্তরের পক্ষ থেকে এই রাস্তা সংস্কারের অনুমোদন মেলে। আর দেরি না করে অনুমোদন মিলতেই ব্যারাকপুর পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকরা এই রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করেছে।
তবে সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, দীর্ঘ ৪কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে সবথেকে বেহাল অবস্থা হল ব্যারাকপুর লালকুঠি মোড়। এখানে বর্ষার জল দীর্ঘদিন জমে থাকার কারণেই রাস্তার এই বেহাল দশা হয়ে থাকে সারা বছর ধরে। ব্যারাকপুর মহাকুমার পূর্ত দপ্তরের আধিকারিক পিনাকী ভট্টাচার্য জানালেন, লালকুঠি মোড়ের কাছে কাজ শুরু হয়েছে। যেহেতু এই লালকুঠি এলাকায় বর্ষায় জল দাঁড়িয়ে যায় তাই বিটুমিনাস রাস্তার থেকে অধিক টেকসই কংক্রিট পেভার ব্লক দিয়ে এই অংশ মেরামতি করা হবে। যাতে রাস্তায় জল দাঁড়ালেও তা রাস্তার ক্ষতির কারণ হবে না। পিনাকী বাবুর থেকে আরও জানা গেল যে, লালকুঠির বর্ষার সময় জমা জল বার করতে সেখানকার জল নিষ্কাশনের কালভার্টটি চওড়া করে দেওয়া হবে ও সংশ্লিষ্ট অংশে ড্রেন তৈরি করা হবে।
তবে যন্ত্রণাদায়ক ব্যারাকপুরের লাইফ লাইন এই ঘোষপাড়া রোডের রাস্তার কাজ অবশেষে শুরু হওয়াতে এলাকাবাসী হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন।