বিহারের পাটনার একটি হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire)। দুর্ঘটনায় ছ “জনের মৃত্যু হয়েছে। হোটেল থেকে এক মহিলার পোড়া দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। ভবন থেকে প্রায় তিন ডজন মানুষকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ১৫ জন এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা গুরুতর। হোটেলটিতে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে আগুন জ্বলতে থাকায় আগুনের মাত্রা অনুমান করা যায়।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে পল হোটেলে আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হোটেলের সামনের রাস্তায় যানবাহন আটকা পড়ে। আগুন এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, তা নেভানোর জন্য দমকলের কর্মীদের ডাকতে হয়। আগুন আশেপাশের ভবনগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এখনও পর্যন্ত হোটেলে আটকে পড়া প্রায় ৪৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিআইজি (ফায়ার সার্ভিস) মৃত্যুঞ্জয় কুমারও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। হোটেলের অভ্যন্তরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে যাতে কেউ ভিতরে আটকা না পড়ে। তিনি বলেন, হোটেল থেকে প্রায় 45 জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সকাল ১১টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া যায়। দমকলকর্মীরা অনেক পরিশ্রম করেছেন।
#WATCH | Bihar: Massive fire breaks out in a hotel near Golambar in Kotwali police station area, in Patna. Fire tenders present at the spot. Firefighting and rescue operations underway. 12 people rescued so far and sent to PMCH. pic.twitter.com/yp9AI3w3aV
— ANI (@ANI) April 25, 2024
অগ্নিকাণ্ডের তদন্তকারী কর্মকর্তা পল হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের খবরে হতবাক হয়ে যান। ঘটনাস্থলে প্রচুর মানুষ জড়ো হন। হোটেলের ভিতরে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আগুন নেভানোর এবং আশেপাশের অন্যান্য ভবনগুলিকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আগুন দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। পুলিশ ও দমকল কর্মীরা অগ্নিকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখছেন।
পাটনা স্টেশনের কাছে অবস্থিত পাল হোটেলে যে আগুন লেগেছিল তা নিয়ন্ত্রণ করতে দমকল বাহিনীকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। আগুন নেভানোর জন্য দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিনকে কাজে লাগাতে হয়েছিল। ঘটনার পর দমকলের ডিজি শোভা অহোটকরও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তিনি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
কমপক্ষে ৪৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৩৮ জন পাটনার পিএমসিএইচ-এ চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে পাটনার কোতোয়ালি নগর এলাকায়। আগুন নেভানোর পর বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জানা গেছে যে অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় বহু মানুষ আটকা পড়েছিল, যাদের জলবাহী ক্রেন এবং ফায়ার ব্রিগেডের গাড়িতে করে নামানো হয়। ঘটনাস্থলে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন রয়েছে। হোটেলে আটকা পড়া কয়েকজনকে সরিয়ে নেওয়ার সময় তারা অজ্ঞান হয়ে পড়েন।