পল্লব হাজরা, বরানগর: লেলিন জন্মজয়ন্তী পালন করে কর্মীরা বাড়ি ফিরে গেছেন। এমন সময় বরাহনগর সিপি এম ১নং এরিয়া কমিটি ১৫নং শাখার দলীয় কার্যালয়ে আগুন। শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ প্রতিবেশীদের চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয় দলীয় কর্মী স্বপ্না গুহনিয়োগী। আগুনের শিখায় দলীয় কার্যালয় জ্বলতে দেখে খবর দেন স্থানীয় নেতৃত্বদের।
ঘটনা জানাজানি হতেই ১৫নং ওয়ার্ডের বনহুগলী বনরিনি অবসানের বাসিন্দারাও ছুটে আসেন । পাশাপাশি বহুতলের অবস্থানের ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা যায় অঞ্চল জুড়ে। স্থানীয়দের মধ্যে সৃষ্টি হয় আতঙ্কের পরিবেশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বরাহনগর থানার পুলিশসহ দমকলের একটি ইঞ্জিন। দমকলের একটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় কিছু সময় পর আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে।
মহিলা সমিতির সম্পাদক স্বপ্না গুহনিয়োগী জানান, বনহুগলী ই-৬(E-6) বনরিনি আবাসনে দলীয় কার্যালয় অবস্থিত। সকালে লেলিন জন্মজয়ন্তী পালনের পর সকলে বাড়ি ফিরে যান। দুপুর ১২টা নাগাদ স্থানীয়দের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তিনি। দলীয় কার্যালয়ের দরজা খুলতেই ধোঁয়া দেখতে পান। পরে অন্য ঘর খুলতেই আগুনের শিখা নজরে আসে স্বপ্না দেবীর। তিনি অভিযোগ করেন, দিন রাত প্রায় সব সময় পার্টি অফিসের বাইরে বসে তাসের আসর। তার সাথে চলে মদ্যপান। তাদের তাণ্ডবে কার্যালয়ের প্রত্যেকটি জানলার কাঁচ ভাঙা। আজ তাদের মধ্যে বাইরে থেকে কেউ বিড়ি খেয়ে ছুড়ে ফেলায় এই বিপত্তি। ভিতরে থাকা সমস্ত কিছুই ভস্মীভূত।
ওপর দিকে দলীয় কর্মী স্বপন মজুমদার শাসক দলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলেন। তিনি জানান, এর আগেও শহীদ বেদী ভাঙার চেষ্টা হয়েছে। নির্বাচন থেকে দেওয়াল লিখন সব সময় বাধার মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূলের দ্বারা। আজকের অগ্নিকাণ্ড ঘটনা সমাজ বিরোধি নিয়ে চলা পশ্চিমবঙ্গে যে দলটা রয়েছে সেই দলেরই কাজ। এই অফিসে একাধিকবার মদের বোতল ছুড়ে জানলার কাঁচ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগও তোলেন তিনি।যদিও ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে শাসক শিবির।
তবে, ঘটনার পিছনে ঠিক কি কারণ রয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে বরাহনগর থানার পুলিশ।