শনিবার বিকেলে শিয়ালদা স্টেশনের বাইরে অবস্থিত ফুড কোর্টে ভয়াবহ আগুন (Fire Breaks Out) লাগার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনাস্থলে দমকলের (Fire Breaks Out) তিনটি ইঞ্জিন দ্রুত পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যবহার করা হয় ‘ফায়ার বল’ (Fire Breaks Out) । আপাতত আগুন (Fire Breaks Out) নিয়ন্ত্রণে এলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি, ফুড কোর্টের রোল সেন্টার থেকে দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন ছড়িয়েছে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে সঠিক কারণ জানতে দমকল বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিকেল চারটে নাগাদ স্টেশনের দক্ষিণ শাখার প্রবেশপথের কাছে থাকা ফুড কোর্টে হঠাৎই আগুন লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে এবং কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আশপাশের এলাকা। পরিস্থিতি এমন ছিল যে, স্টেশন সংলগ্ন রাস্তায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন আতঙ্কে এদিক-ওদিক ছুটোছুটি শুরু করে।
আগুনে ফুড কোর্টটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। আশপাশের কিছু দোকানেও আগুনের আঁচ লেগেছে। তবে সৌভাগ্যক্রমে রেল স্টেশন, মেট্রো স্টেশন এবং বিআর সিং হাসপাতাল আগুনের কবল থেকে সুরক্ষিত রয়েছে। হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।
শনিবার হওয়ায় স্টেশনে তুলনামূলকভাবে ভিড় কম থাকলেও গঙ্গাসাগর মেলার জন্য বাড়তি চাপ ছিল। শিয়ালদা স্টেশনের ১৫ ও ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া, হাওড়া স্টেশন এবং বাবুঘাট থেকে সরকারি বাস পরিষেবা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। পরিবহণ নিগমের সূত্র অনুযায়ী, ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ১,৮০০টি বাস ট্রিপ দেওয়া হবে।
দমকল বিভাগের তৎপরতায় বড় বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে। তবে এই ধরনের দুর্ঘটনা ভবিষ্যতে এড়াতে স্টেশনের আশপাশের দোকানগুলির অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।