ফিরহাদ হাকিমের (Firhad hakim ) মন্তব্য ঘিরে কম জলঘোলা হয়নি। বিরোধীরা জোর কদমে শাসক দলের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরাও জানিয়েও বাংলাদেশের এই পরিস্থিতির মধ্যে এই ধরনের মন্তব্য (Firhad hakim ) কখনই কাম্য নয়। এতে বাংলায় পরিস্থিতি (Firhad hakim ) আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে। তৃণমূল সোশ্যাল মিডিয়ায়, ফিরহাদ হাকিমের (Firhad hakim ) মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাবার হয়ে ব্যাটন ধরলেন ফিরহাদ হাকিমের (Firhad hakim ) মেয়ে প্রিয়দর্শিনী হাকিম। তিনি বলেন, “বাবা উর্দু বলতে গিয়ে গুলিয়ে ফেলেছেন।”
একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় প্রিয়দর্শিনী হাকিম বলেন, “বাবা উর্দুতে বলেছেন। আমার মনে হয় বাংলায় অনুবাদ হতে গিয়ে ওটা গুলিয়ে গিয়েছে। বলতে চেয়েছেন ৩৩ শতাংশ আমরা মুসলিম আছি। কিন্তু আমরা নিজেদের সংখ্যালঘু ভাবব না। আমরা যদি শিক্ষার সুযোগ পাই তাহলে আমরাও সংখ্যাগুরু (মেজরিটি) হয়ে যাব সমাজে একটা জায়গায়। উনি এটাই বোধহয় বোঝাতে চেয়েছেন। অর্থাৎ ৩৩ শতাংশ বলে হিনমন্যতায় না ভুগে এমন ভাবে নিজেকে তৈরি করো যাতে জীবনে সফল হও। বাবা এটাই বোঝাতে চেয়েছেন।”
কিন্তু আদতে ধনধান্য স্টেডিয়ামে কী বলেছিলেন ফিরহাদ হাকিম? ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, “আমরা এমন একটা সম্প্রদায়ের লোক, যে সম্প্রদায়….বাংলায় তো আমরা ৩৩ শতাংশ। কিন্তু ভারতে মাত্র ১৭ শতাংশ। আর আমাদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বলা হয়। কিন্তু আমরা নিজেদের সংঘ্যালঘু হিসেবে বিবেচনা করি না। আমরা ভাবি যে আমাদের উপরে যদি আল্লাহের রহমত থাকে, তালিম যদি আমাদের পক্ষে থাকে, তাহলে একদিন আমরা মেজরিটির থেকেও মেজরিটি হয়ে যেতে পারি। আমরা যদি নিজেদের শক্তি দিয়ে এটা অর্জন করতে পারি, তাহলে সেটা আল্লাহের কৃপা হবে। আমাদের সম্প্রদায়….অনেক জায়গায় আমি দেখি যে কিছু হলেই মোমবাতি মিছিল করে থাকে। উই ওয়ান্ট জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস। আমি বলি, মিছিল করে জাস্টিস হবে না। নিজের ক্ষমতা এমন করতে হবে যে আপনি নিজেই জাস্টিস দেওয়ার যোগ্য হবেন, জাস্টিস চাইবেন না। জাস্টিস দেবেন।”