ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) মন্তব্য ঘিরে রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছে। দলের অভ্যন্তরেও চাপের মুখে পড়েছেন তিনি (Firhad Hakim)। দল যে তাঁর (Firhad Hakim) মন্তব্যকে কোনওভাবে সমর্থন করেনি, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিতর্কের পারদ বাড়তে থাকলে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন তাঁর (Firhad Hakim) মেয়ে প্রিয়দর্শিনী। তিনি বলেন, “বাবা উর্দুতে বলতে গিয়ে গুলিয়ে ফেলেছেন।” এবার নিজের মন্তব্যের ব্যাখা দিতে আসরে নামলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
বৃহস্পতিবার ওয়াকফ বিল প্রত্যাহারের দাবিতে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল কলকাতায়। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ। সেখানেই তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করেন। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি সাফাই ইস্যুতে বলেন, , “সব ধর্মকে হৃদয় দিয়ে সম্মান করি। কিন্তু আমার নিজের ধর্ম আমি ১০০ শতাংশ মানি। পিছিয়ে পড়া মানুষের শিক্ষার অগ্রগতির কথা বলা যদি অন্যায় হয়, তাহলে আমি নিশ্চিতভাবে আমি অন্যায় করেছি। সবাইকে শিক্ষিত হতে হবে।” মেয়র (Firhad Hakim) দাবি করছেন, সংখ্যাগুরু বলতে সকলের শিক্ষার কথা বলেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর মন্তব্যকে নিয়ে নোংরা রাজজনীতি হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমি পরোয়া করি না। কারণ আমি বিশ্বাস করি, আল্লাহ ছাড়া কারও সামনে মাথানত করা যায় না। কর্মটাই হল আমার জীবন, আর সেটা করাচ্ছেন আল্লাহতালা। তিনি থাকতে আমার কোনও ক্ষতি হবে না।”
সেদিন ধনধান্য স্টেডিয়ামে কী বলেছিলেন ফিরহাদ হাকিম?
ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, “আমরা এমন একটা সম্প্রদায়ের লোক, যে সম্প্রদায়….বাংলায় তো আমরা ৩৩ শতাংশ। কিন্তু ভারতে মাত্র ১৭ শতাংশ। আর আমাদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বলা হয়। কিন্তু আমরা নিজেদের সংঘ্যালঘু হিসেবে বিবেচনা করি না। আমরা ভাবি যে আমাদের উপরে যদি আল্লাহের রহমত থাকে, তালিম যদি আমাদের পক্ষে থাকে, তাহলে একদিন আমরা মেজরিটির থেকেও মেজরিটি হয়ে যেতে পারি। আমরা যদি নিজেদের শক্তি দিয়ে এটা অর্জন করতে পারি, তাহলে সেটা আল্লাহের কৃপা হবে। আমাদের সম্প্রদায়….অনেক জায়গায় আমি দেখি যে কিছু হলেই মোমবাতি মিছিল করে থাকে। উই ওয়ান্ট জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস। আমি বলি, মিছিল করে জাস্টিস হবে না। নিজের ক্ষমতা এমন করতে হবে যে আপনি নিজেই জাস্টিস দেওয়ার যোগ্য হবেন, জাস্টিস চাইবেন না। জাস্টিস দেবেন।”