আরও কঠোর হচ্ছে কলকাতা পুরসভা (Firhad Hakim)। কমন প্যাসেজে কোনও নির্মাণ করা যাবে না বলে সাফ জানিয়েদিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে এই ধরনের অভিযোগ আসে। তারপরেই এই বিষয়ে কঠোর বার্তা দিলেন মেয়র (Firhad Hakim)। প্রসঙ্গত কমন প্যাসেজ বলতে দুটি বাড়ির মাঝের জায়গাকে বোঝাচ্ছে (Firhad Hakim)। এই নির্দেশের পরেই চাপা উত্তেজনা দেখা দিয়েছে (Firhad Hakim)।
কলকাতা পুরসভার আইনে এই কমন প্যাসেজে যে কোনও ধরনের ব্যক্তিগত নির্মাণ বেআইনি বলে উল্লেখ রয়েছ।এই কমন প্যাসেজ দিয়ে মানুষজন যাতায়াত করেন। আবার সেখানে এলাকার মানুষের গাড়ি থাকে। তাই ওই ধরণের কমন প্যাসেজে ব্যক্তিগতভাবে কেউ নির্মাণ করতে পারে না। তাহলে অসুবিধায় পড়তে হয় মানুষজনকে। এদিন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, ‘বহু বছর ধরে ব্যবহৃত কোনও কমন প্যাসেজ নাগরিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। সেটা আর কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে পারে না। আর তাই কমন প্যাসেজ বন্ধ করে নির্মাণের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। এমন কোনও নির্মাণ করতে তাই নিষেধ করছেন বরো অফিসাররা।’
অন্যদিকে, জানানো হয়েছে,কমন প্যাসেজে যদি কেউ ব্যক্তিগত নির্মাণ করেন, তা ভেঙে দেওয়ার অধিকার কলকাতা পুরসভার রয়েছে। টুক টু মেয়রে (Firhad Hakim) জোকা থেকে এই ধরনের বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ করা হয়েছে। সেখানে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, কয়েকটি বাড়ির কমন প্যাসেজের মধ্যে বাড়ির মালিক হঠাৎ করে প্রাচীর তুলে দিয়েছেন। বহু যুগ ধরে ওই রাস্তা দিয়ে এলাকাবাসী যাতায়াত করতেন। এখন এই নির্মাণের জেরে সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা। আর এই অভিযোগ শোনার সঙ্গে সঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim) বরো এক্সিকিউটিভ অফিসারকে কমন প্যাসেজে থাকা পাঁচিল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন।
এই নির্দেশ দেওয়ার পরেই ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, কোনওভাবেই কমন প্যাসেজে ব্যক্তিগত নির্মাণ করা যাবে না। এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “কেউ দলিল করে কমন প্যাসেজ নিজের বলে দাবি করতে পারে না। আর যদি তা করে বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদন দেবেন না। কারণ ৩০–৪০ বছর ধরে ওই কমন প্যাসেজ ব্যবহার হয়ে সেটি অন্যান্য বাসিন্দাদের অধিকারের মধ্যে পড়ে যায়। অনেক প্রোমোটার এখন সেগুলি দলিলের মধ্যে ঢুকিয়ে বিল্ডিং নির্মাণের অনুমোদন নিচ্ছেন। যদি দলিলের মধ্যে এসব থাকে তাহলে অনুমোদন দেবেন না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সেই ফাইল পাঠাবেন। সেখানে যা হওয়ার হবে।”