পাকিস্তান ১৪ আগস্ট তাদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে। স্বাধীনতা উদযাপনের সময় করাচি শহরে মর্মান্তিক ঘটনা (Firing Incident) ঘটেছে। স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় গুলিবর্ষণে ৩ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৮ বছর বয়সী এক মেয়ে এবং একজন বয়স্ক নাগরিকও রয়েছেন। গুলিবর্ষণে আরও ৬০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জিও নিউজ এই খবর দিয়েছে।
শহরজুড়ে গুলি চালানোর ঘটনা
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় শহরজুড়ে গুলি চালানোর (Firing Incident) ঘটনা ঘটে। এখানে আজিজাবাদে এক মেয়েকে গুলি করা হয়েছে এবং কোরাঙ্গিতে স্টিফেন নামে এক ব্যক্তিও নিহত হয়েছেন। জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, শহরজুড়ে এই ঘটনাগুলিতে কমপক্ষে ৬৪ জন আহত হয়েছেন। কর্মকর্তারা এই ধরনের ঘটনাকে বিপজ্জনক এবং অবহেলার ফলাফল বলে বর্ণনা করেছেন। এই সময়ে, জনগণকে নিরাপদে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করার জন্যও আবেদন করা হয়েছে।
এই এলাকাগুলিতে গুলি চলেছে
পুলিশের মতে, করাচির লিয়াকতবাদ, কোরাঙ্গি, লিয়ারি, মাহমুদাবাদ, আখতার কলোনি, কেমারি, জ্যাকসন, বলদিয়া, ওরাঙ্গি টাউন এবং পাপোশ নগরের মতো এলাকায় গুলি চালানোর (Firing Incident) ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও, শরীফাবাদ, নাজামাবাদ, সুরজানি টাউন, জামান টাউন এবং লান্দির মতো এলাকায়ও গুলি চালানো হয়েছে। পাকিস্তানে প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। ২০২৪ সালেও একই রকম একটি ঘটনা ঘটেছিল। এতে একজন শিশু মারা যায় এবং ৯৫ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়।
পুলিশের বয়ান
পুলিশ গুলিবর্ষণের ঘটনাগুলির তদন্ত শুরু করেছে এবং আশ্বাস দিয়েছে যে আকাশ থেকে গুলি চালানোর (Firing Incident) সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এআরওয়াই নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, পুলিশ কর্মকর্তারা এই ঘটনার জন্য বেশ কয়েকটি কারণকে দায়ী করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে মতপার্থক্য, ব্যক্তিগত শত্রুতা এবং ডাকাতির প্রচেষ্টায় প্রতিরোধ। এআরওয়াই নিউজের মতে, জানুয়ারির শুরুতে করাচিতে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ৫ জন মহিলা সহ কমপক্ষে ৪২ জন নিহত এবং ২৩৩ জন আহত হন।