উত্তরবঙ্গে পাহাড়ের পাশাপাশি সমতলে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে (Flood situation)। এর জেরে হু হু করে বাড়ছে তিস্তার জল।(Flood situation) তিস্তার আশেপাশের এলাকাগুলোতে সতর্ক (Flood situation) করে দেওয়া হয়েছে। তিস্তা ও জলঢাকা নদীর অববাহিকায় (Flood situation) জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। শনিবার তিস্তা নদীর দোমহানীর সঙ্গে এনএইচ ৩১ জলঢাকা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সর্তকতা জারি করেছে জলপাইগুড়ি সেচ দফতর।
সেন্ট্রাল ফ্লাড কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর ১২.৩০ মিনিট নাগাদ জলপাইগুড়ির গজলডোবায় তিস্তা ব্যারেজ থেকে (Flood situation) ৪৮৭০.০৪ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ধূপগুড়ি মহাকুমার বানাহাট ব্লকের একাধিক জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এডিও পুষ্পা লেপচা এলাকা পরিদর্শন করেন। জলমগ্ন একালার বাসিন্দাদের নিরাপদ অঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশিক জলঢাকা ও তিস্তা নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে মাইকিং শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। বানারহাটের গয়েকাটার পাশাপাশি বিন্নাগুড়ি এলাকাতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলের তলায় চলে গিয়েছে। কিন্তু যে হারে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে।
দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে প্রবল বৃষ্টির জেরে একাধিক এলাকায় ধস নামছে। ১ লক্ষ ২৮ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে তিস্তার ব্যারেজ। জলপাইগুড়ির তিস্তাপাড়ে জারি লাল সতর্কতা। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলের পাশাপাশি ডুয়ার্সের প্লাবিত একালাকাগুলো ঘুরে দেখবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বর্তমানে অনেকটাই কমে গিয়েছে। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হতে শুরু করেছে। একাধিক জায়গা থেকে জল নামতে শুরু করেছে। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। তবে মহালয়ার পর থেকে আবহাওয়া বদলাতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুজোর দিনগুলো থেকে লক্ষী পুজো পর্যন্ত বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।