হুগলির খানাকুলে বন্যা পরিস্থিতির (Flood Situation) ভয়ঙ্কর অবনতি হয়েছে। ইতিমধ্যে খানাকুলের একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে খানাকুলের বন্যায় (Flood Situation) একটি দোতলা বাড়িকে কার্যত ভেসে যেতে দেখা গিয়েছে। নতুন করে খানাকুলের একাধিক জায়গা প্লাবিত (Flood Situation) হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। সেই খানাকুলের বন্যা কবলিত (Flood Situation) মানুষরা ত্রাণ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
খানাকুলের অনেক বাসিন্দাকে (Flood Situation) খোলা আকাশের নিয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছে। ত্রাণ শিবিরে জায়গা মেলেনি অনেকেরই। খানা কুলের বন্যা কবলিত (Flood Situation) মানুষেরা অভিযোগ করেছেন, একটা ত্রিপল পর্যন্ত জোটেনি। পর্যাপ্ত খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁরা প্রশাসনের বিরুদ্ধ নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দেন। যদিও স্থানীয় প্রশাসন দাবি করেছেন, ওখানের প্রতি এলাকাতেই ত্রাণ বিলি করা হয়েছে।
প্রতি বছর জল যন্ত্রণার যেন নিয়ম হয়ে গেছে খানাকুলের বাসিন্দাদের। তবে এবছরের পরিস্থিতি বেশ ভয়নাক। নতুন করে জল বাড়েনি খানাকুলের। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে না খাবার। খাওয়া যাচ্ছে না পানীয় জল। ত্রিপল পর্যন্ত জোটেনি। যার জেরে বন্যা কবলিত মানুষদের খোলা আকাশের নীচে থাকতে হচ্ছে। নতুন করে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সেই কারণে পরিস্থিতি আবার খারাপ হতে পারে বলে খানাকুলের বাসিন্দারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত কয়েকদিন ধরে জলমগ্ন ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। জলমগ্ন বেশিরভাগ এলাকায় কোনও মাটির বাড়ি কার্যত আস্ত নেই। পাকা বাড়ির একতলা গুলো কার্যত জলের তলায় রয়েছে। ছাদের ওপর কোনও রকমে ত্রিপল টাঙিয়ে রয়েছে। জল ডুবে গেছে জাতীয় সড়ক। প্রাণ হাতে করে রাস্তায় চলাচল করছে সাধারণ মানুষ।
অন্যদিকে, করুণ পরিস্থিতি পাঁশকুড়ার বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের। গবাদি পশুদের ছেড়ে তাঁরা যেতে পারছেন না। অন্যদিকে, জলস্তর ক্রমেই বাড়ছে। উদ্ধারের জন্য কেউ আসছে না। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পাঁশকুড়ার বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা আসছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সকলকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। জানা গিয়েছে, ত্রাণ শিবিরের অমিল রয়েছে। বন্যার আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এলেও খোলা আকাশের নীচে তাঁদের থাকতে হচ্ছে।