গত কয়েকদিন ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) খতিয়ে দেখছেন। মঙ্গলবার বন্যা পরিস্থিতিতে (Flood Situation) বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী বন্যায় (Flood Situation) মৃতদের পরিবার পিছু দুই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেন।
মুখ্যমন্ত্রী বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি বলেন, “৬৫ হাজার বাড়ি আমি ইতিমধ্যেই (Flood Situation) সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর থেকে করে দিচ্ছি। বন্যায় (Flood Situation) যে বাড়িগুলো সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত, ভেঙে গিয়েছে, আমার ১১ লক্ষ বাড়ি দেওয়ার তালিকার মধ্যে সেই বাড়িগুলো রয়েছে কিনা, দেখে নিতে বলেছি। বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার পরেই সার্ভে হবে। প্রথম কিস্তির টাকা ডিসেম্বরে দেওয়া হবে।” তিনি বলেন, “গত ১৩ বছরে আমরা ৫০ লক্ষ বাড়ি তৈরি করতে আমরা সমর্থ হয়েছি। এখনও বাংলা গ্রাম ভিত্তিক। শহর কলকাতা কয়েকটা পৌরসভা ছেড়ে দিলে বাকিটা গ্রাম। গ্রামে অনেকে পাকা বাড়ি নিজেরা করে নিয়েছেন, বাকি ৫০ লক্ষ বাড়ি আমরা করে দিয়েছি।”
পাশাপাশি তিনি বলেন, গ্রামীণ অঞ্চলের রাস্তা যা ভেঙে গিয়েছে, বিধায়কদের নির্দেশ দিয়েছে, রাস্তা সারাইয়ের জন্য বরাদ্দ টাকা সম্পূর্ণটাই খরচ হবে।এমপি খাতের এক কোটি টাকা স্কুল মেরামতি, আর চার কোটি টাকা রাস্তা মেরামতিতে খরচ হবে। বাকিটা সার্ভে করে দেখা হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতেই রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসিকে দায়ী করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ডিভিসি ৫ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে। তিনি বলেন, “ডিভিসি প্রতিবছর জল ছাড়ে আর ম্যান মেড বন্যা হয়। বাংলায় বর্ষার কারণে বন্যা হয় না, ডিভিসি-র ছাড়া জলে বন্যা হয়। বন্যায় এখনও পর্যন্ত ২৮ জন মারা গেছেন। আমার চাই না মানুষ মারা কোনও সংস্থা। ড্রেজিং করে না বছরের পর বছর। ডিভিসি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। একসঙ্গে ৫ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়লে কীভাবে মাটি সহ্য করবে।”