পুরুলিয়ায় ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বাঘিনি (Tigress) জিনাত। বিভিন্নভাবে জিনাতকে (Tigress) টোপ দেওয়া হচ্ছে। এমনকী ছাগলের টোপ দেওয়া হচ্ছে জিনাতকে। কিন্তু সযত্নে জিনাত (Tigress) সেই ছাগলের টোপ এড়িয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, ছাগলের টোপেই ডুয়ার্সে ধরা পড়ল লেপার্ড। বনদফতর উত্তরবঙ্গের চা বাগানে এক লেপার্ডকে ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচাবন্দি করেছে বলে জানা গিয়েছে।
বাঘিনী জিনাত কালঘাম ছুটিয়ে দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের। কিছুতেই বাঘিনি জিনাতকে ধরতে পারছেন না বনদফতরের কর্মীরা। পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের পাহাড়ে জিনাতকে শেষ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সেখানেই খাঁচা বন্দি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা করতে সক্ষম হয়নি বনদফতর। প্রসঙ্গত, বুধবার দিনভর পুরুলিয়ার বান্দোয়ান ব্লকের রাইকা ও সংলগ্ন ভাঁড়ারি পাহাড়ে রেডিও কলার ট্র্যাকিং অ্যান্টেনার মাধ্যমে তল্লাশি চালিয়ে বন দফতর নিশ্চিত হয় বাঘিনি জিনাত ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে ভাঁড়ারি পাহাড়ের রাইকা পাহাড় সংলগ্ন এলাকায়। এরপর তাকে বুধবার রাতেই খাঁচাবন্দি করার যাবতীয় পরিকল্পনা করে ফেলেছে বন দফতর। কিন্তু বন দফতরের সমস্ত পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করেছে জিনাত। অন্যদিকে, পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের গ্রামবাসীরা ভয়ে কাঁটা হয়ে রয়েছে। রাত হলে কেউ ঘরের বাইরে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। দিনের বেলা ভয়ে ভয়ে রাস্তায় বের হচ্ছেন।
অন্যদিকে, কয়েকদিন ধরে মথুরা চা বাগানে লেপার্ডের উৎপাত শুরু হয়। এলাকার বেশ কয়েকটি বাছুর, ছাগল, বিড়াল, কুকুর সাবার করছিল সে। এলাকায় আতঙ্ক বেড়েছিল। রীতিমতো থরহরিকম্প ছিল এলাকাবাসী। অবশেষে তাকে ধরতে ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পাতে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। সেখানেই সফল হয় বনদফতর। আপাতত লেপার্ডের ভয় থেকে মুক্তি থেকে স্বস্তি মিলেছে বনদফতরের। শীত শুরু হতেই ডুয়ার্সের চা বাগানে চিতাবাঘের আনাগোনা শুরু হয়। নভেম্বর মাসে একাধিক চিতাবাঘ ধরাও পড়েছে। ডিসেম্বর মাসেও সেই ঘটনা দেখা যাচ্ছে। চা বাগানের বাসিন্দাদের এই বিষয়ে সতর্ক করছে বনদপ্তর। তবে বাঘ বন্দিতে কিছুটা হলেও আশ্বস্ত এলাকাবাসী।