প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং (Manmohan Singh) প্রয়াত। বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির এইমস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (Manmohan Singh) । প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন একাধিক সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন মনমোহন সিং (Manmohan Singh)। যার সুফল আজও ভোগ করছেন দেশের সাধারণ মানুষ। কিন্তু কোনও মানুষের সব ইচ্ছা এক জীবনে পূরণ হয় না। তেমনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের (Manmohan Singh) একটি ইচ্ছা অপূর্ণ রয়ে গিয়েছে। সেটি নিয়ে চিরকাল আফশোশ করেছেন (Manmohan Singh)। কিন্তু সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ১৯৩২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের (তৎকালীন অবিভক্ত ভারত) পঞ্জাব প্রদেশে গাহ-তে জন্মগ্রহণ করেন। দেশভাগের পর তিনি পরিবারের সঙ্গে ভারতে চলে আসেন। কিন্তু তাঁর মন থেকে জন্মভিটার স্মৃতি কখনও যায়নি। কংগ্রেস নেতা রাজীব শুক্লা একটি সাক্ষাৎকারে মনমোহন সিংয়ের ইচ্ছার কথা বলেছিলেন। তিনি বলেন, নমোহন সিংয়ের ইচ্ছা ছিল জন্মভিটে একবার দেখার। তবে পরিস্থিতি এমন ছিল, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এমন ছিল যে সেই ইচ্ছা তাঁর অপূর্ণই থেকে গেল।
কংগ্রেস নেতা সাক্ষাৎকারে বলেন, পাকিস্তানে একবার গিয়েছিলেন মনমোহন সিং। তিনি বলেন, যে বিদেশে কাজ করার সময় মনমোহন সিং তাঁর এক পাকিস্তানি বন্ধুর সঙ্গে রাওয়ালপিন্ডি গিয়েছিলেন। সেই সফরে তিনি ওখানের গুরুদ্বারেও যান, যেখানে তিনি শৈশবে যেতেন। কিন্তু তিনি নিজের গ্রামে যেতে পারেননি। তিনি তাঁর জন্মভিটেতে একবার যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই ইচ্ছা পূর্ণ হল না।
জানা যায়, খুব ছোটবেলায় মনমোহন সিংয়ের মা মারা যান। তিনি তাঁর দাদুর কাছে মানুষ হন। কিন্তু দেশভাগের আগে একটি দাঙ্গায় তাঁর দাদু নিহত হয়েছিলেন। এর প্রভাব ছোট মনমোহন সিংয়ের ওপর গভীর প্রভাব পড়েছিল। দাদু মারা যাওয়ার পরে তিনি পেশোয়ারে বাবার কাছে চলে যান। সেখান থেকেই তিনি পড়াশোনা শুরু করেন। দেশভাগের সময় তিনি হাইস্কুলে পড়তেন। সেই সময় তিনি তাঁর বাবার সঙ্গে ভারতে চলে আসেন।
রাজীব শুল্কা একবার মনমোহন সিংকে বলেছিলেন, পাকিস্তানে আপনি আপনার ঘরবাড়ি দেখতে চান? এর উত্তরে মনমোহন সিং বলেছিলেন, “আমার ঘরবাড়ি অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। আমি সেই স্কুলটি দেখতে চাই যেখানে আমি চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলাম।”