আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ২০২৫ সাল থেকে টেস্ট ক্রিকেটের প্রচারের জন্য একটি ডেডিকেটেড ফান্ড বা নিবেদিত তহবিল (Fund for Test Cricket) চালু করার কথা বিবেচনা করছে যাতে “বিগ থ্রি” (ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড)-এর বাইরের দেশগুলি লাভজনক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের সাথে আরও ভালভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। প্রাথমিকভাবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান মার্ক বেয়ার্ড দ্বারা পরিচালিত এবং বিসিসিআই ও ইসিবি দ্বারা সমর্থিত এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল একটি কেন্দ্রীয় তহবিল প্রতিষ্ঠা করা যা খেলোয়াড়দের জন্য ন্যূনতম স্ট্যান্ডার্ড ম্যাচ ফি প্রদান করবে, যা প্রায় ১০,০০০ মার্কিন ডলার (প্রায় ৭,৬০০ পাউন্ড) বলে জানা গেছে। লক্ষ্য হল বড়দিনের মধ্যে প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করা, যাতে এটি আগামী বছর বাস্তবায়িত হতে পারে।
এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল টেস্ট ক্রিকেটকে (Fund for Test Cricket) এমন খেলোয়াড়দের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তোলা, যারা প্রায়শই আরও বেশি উপার্জনের জন্য ছোট ফরম্যাট বেছে নেয়। এটি আর্থিকভাবে সীমাবদ্ধ ক্রিকেট বোর্ডগুলিকে রেড-বল ক্রিকেটের সাথে সম্পর্কিত খরচ মেটাতে সহায়তা করবে, যা প্রায়শই বিগ থ্রি-র বাইরে নয়টি টেস্ট-প্লেয়িং দেশের জন্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়। উদাহরণস্বরূপ, ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিদায়ী সিইও জনি গ্রেভ প্রকাশ করেছেন যে এই বছরের শুরুতে তাদের অস্ট্রেলিয়া সফরে বোর্ডের ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে।
প্রস্তাবিত তহবিলটি (Fund for Test Cricket) প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলার (প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ পাউন্ড) বিসিসিআই সচিব জয় শাহ এবং ইসিবি চেয়ারম্যান রিচার্ড থম্পসনের দ্বারা সমর্থিত। যদিও এটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং আইসিসি বোর্ড বা এর কার্যনির্বাহী কমিটির দ্বারা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করা হয়নি।
বৈশ্বিক ক্রিকেট পরিস্থিতি আর্থিকভাবে ভারসাম্যহীন, কিছু বোর্ড ইতিমধ্যে পারস্পরিক চুক্তিতে জড়িত। উদাহরণস্বরূপ, ইসিবি তার ২০২৩ সালের ক্যারিবিয়ান সীমিত ওভারের সফরের সময় তিনটি অতিরিক্ত টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক খেলতে সম্মত হয়, যা এই অঞ্চলের জন্য উল্লেখযোগ্য রাজস্ব উৎপন্ন করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আরও সহায়তা (Fund for Test Cricket) দেওয়ার জন্য, ইসিবি গত মাসে ইংল্যান্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজের পরে সদিচ্ছার ইঙ্গিত হিসাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের যুক্তরাজ্য সফরের ব্যবস্থা করবে।