খবর এইসময়, নিউজ ডেস্কঃ আশঙ্কা ছিলই এবার তা সত্যি হল। বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের তহবিল নিয়ে প্ৰশ্ন উঠছিল। এই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে চিনের যোগ আছে বলে অভিযোগ ওঠে। এবার সেই ঘটনার তদন্তের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
এই তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দ্বারা একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন বিশেষ পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেক্ট) সিমঞ্চল দাস। এই কমিটি ফাউন্ডেশনের তহবিল ও লেনদেন তদন্ত করবে।
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে টুইট করে এ তথ্য জানানো হয়েছে। টুইটটিতে বলা হয়েছে, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করেছে, যা রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন, রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এবং ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট তদন্ত করবে।”
MHA sets up inter-ministerial committee to coordinate investigations into violation of various legal provisions of PMLA, Income Tax Act, FCRA etc by Rajiv Gandhi Foundation, Rajiv Gandhi Charitable Trust & Indira Gandhi Memorial Trust.
Spl. Dir of ED will head the committee.
— Spokesperson, Ministry of Home Affairs (@PIBHomeAffairs) July 8, 2020
এই তদন্তে পিএমএলএ আইন, আয়কর আইন, এফসিআরএ আইনের বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে কিনা তা তদন্ত করা হবে। কমিটির নেতৃত্ব দেবেন ইডির বিশেষ পরিচালক।
প্রসঙ্গত, ভারত ও চিনের মধ্যে চলমান বিরোধের মধ্যে যখন কংগ্রেস কেন্দ্রীয় সরকারকে ক্রমাগত আক্রমণ শানাচ্ছিল। এর জবাবে ভারতীয় জনতা পার্টি পাল্টা জবাব দিয়েছিল কংগ্রেসকে। বিজেপির সভাপতি জে পি নাড্ডা অভিযোগ করেছিলেন যে, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন চিন থেকে তহবিল পেত।
এছাড়া রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনকে ইউপিএ সরকার দেশের জন্য গঠিত প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে অর্থ দিয়েছিল। বিজেপি অভিযোগ করেছিল যে, ২০০৫-০৮ অবধি রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন পিএমএনআরএফ থেকেল অর্থ পেয়েছিল।
তবে, এর জবাবে কংগ্রেস এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে। কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন দেশের ভিত্তি এবং সেবার জন্য তার কাজ করে।
কংগ্রেস আরও বলে, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন ২০০৫-০৬ সালে পিএমএনআরএফের কাছ থেকে নামমাত্র পরিমাণ পেয়েছিল, যা আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ত্রাণ কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল।