গগনযান (Gaganyaan Mission) ভারতের সবচেয়ে বড় মহাকাশ অভিযান। ভারতের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী মহাকাশ প্রকল্প ‘গগনযান’ আগামী বছরের মার্চে একটি মানববিহীন মিশন নিয়ে যাত্রা শুরু করতে পারে। তার আগে, ইসরো সমুদ্রে বিজ্ঞানীদের মোতায়েন করবে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) এই মানববিহীন অভিযান পর্যবেক্ষণের জন্য প্রশান্ত মহাসাগর এবং উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের পর্যবেক্ষণ পয়েন্টগুলিতে বিজ্ঞানীদের বহনকারী জাহাজ পাঠাবে।
সফল হলে এই মিশন ভারতের ইতিহাসে একটি বড় মাইলফলক হয়ে উঠবে। এর সাফল্য ২০২৬ সালে গগনযানের (Gaganyaan Mission) মানব অভিযানের সূচনা নির্ধারণ করবে। চারজন নভোচারী ইতিমধ্যেই সেই তিন দিনের মিশনের জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এই মিশনের আওতায় নভোচারীরা ৪০০ কিলোমিটার কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করবেন এবং ভারতীয় জলসীমায় অবতরণের পর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।
ভারত সরকারের অধীনে ইসরো ২০২৫ সালের ১ মার্চ থেকে ২০২৫ সালের ৩১ আগস্টের মধ্যে একটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা চালাতে চলেছে। মিশনটি (Gaganyaan Mission) ২০২৫ সালের ১ মার্চ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে এবং এটি একটি মানবহীন মিশন বলে জানা গেছে। প্রশান্ত মহাসাগর এবং উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের পর্যবেক্ষণ পয়েন্টগুলিতে পাঠানো জাহাজগুলিতে আটজন করে বিজ্ঞানী থাকবেন। এই জাহাজগুলিকে তাদের গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য কমপক্ষে দুই সপ্তাহ সমুদ্রে থাকতে হতে পারে।
দুটি ভিন্ন অবস্থান থেকে দুটি জাহাজ-প্রশান্ত মহাসাগর এবং উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর-মিশনকে সমর্থন করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতিতে পাঠানো হবে। এই জাহাজগুলি নাবিকদের কাজে সহায়তা করবে। ইসরো এই জাহাজগুলি থেকে বেঙ্গালুরুতে এমওএক্স-আইএসটিআরএসি এবং এসসিসি-আইএসটিআরএসি-তে হাইব্রিড যোগাযোগ সার্কিট স্থাপন করবে। এই দুটি কেন্দ্রই চন্দ্রযান-৩-এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এই ভাড়া করা জাহাজগুলিতে মোতায়েনের জন্য আইএসটিআরএসি থেকে শিপবোর্ন টার্মিনাল (এসবিটি) বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, এমভি-স্যাট অ্যান্টেনা এবং সংশ্লিষ্ট সাবসিস্টেমগুলি বিদেশে পাঠানো হবে। এই বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাটি (Gaganyaan Mission) একটি নতুন বিকাশ এবং সিস্টেমের প্রস্তুতির পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ ১ মার্চ, থেকে ৩১ আগস্ট, ২০২৫ এর মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইসরো উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে পর্যবেক্ষণের জন্য নিকটতম ভারতীয় বন্দর থেকে নিউইয়র্কে তার ‘আইএসটিআরএসি’ চালান পাঠাবে। এর জন্য কার্গো শিপমেন্ট ব্যবহার করা হবে। নিউইয়র্ক থেকে একটি চার্টার জাহাজ উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের ৩০০০ কিলোমিটার দূরে একটি জায়গায় যাবে। এই যাত্রা শেষ করতে ১৩ থেকে ১৪ দিন সময় লাগবে। ইসরোর আটজন আধিকারিকের একটি দল নিউইয়র্ক থেকে জাহাজে চড়ে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে যাবে। এই মিশনের সঙ্গে যুক্ত ট্র্যাকিং কার্যক্রম সর্বোচ্চ তিন দিন স্থায়ী হবে।
বিজ্ঞানীদের দলের তত্ত্বাবধান ও নির্দেশনায় ইসরোর সমস্ত সরঞ্জাম জাহাজের ডেকে মোতায়েন করা হবে। মিশনকে সমর্থন করার জন্য, তারা চার্টার্ড জাহাজে সরঞ্জামগুলির সাথে থাকবে এবং পর্যবেক্ষণ পয়েন্টে যাওয়ার পথে প্রতিদিন সরঞ্জামগুলি পরিচালনা ও পর্যবেক্ষণ করবে। মিশন শুরুর তারিখের কমপক্ষে দুই দিন আগে জাহাজটি উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরের পর্যবেক্ষণ পয়েন্টে পৌঁছাবে। এটি তিন দিনের জন্য পর্যবেক্ষণ পয়েন্টে স্থাপন করা হবে। মিশন (Gaganyaan Mission) চলাকালীন একাধিক অধিবেশনে ডায়নামিক পজিশনিং সিস্টেম সর্বাধিক ১৫ ঘন্টা সক্রিয় থাকবে।