নিজস্ব প্রতিনিধি, গারুলিয়া: দলের অন্যান্য প্রার্থীরা যেখানে জাঁকজমকপূর্ণ মিটিং-মিছিল করছেন সেখানে অন্য ছবি ধরা পড়ল গারুলিয়া পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। গারুলিয়া পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন দলের প্রতিষ্ঠা সদস্য পঙ্কজ দাস, যিনি দমদম ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার নেতাদের কাছে একজন দীর্ঘদিনের পরিচিত মুখ।
এই পঙ্কজ বাবু্কে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই দেখা গেল কোনরকম তারস্বরে মাইক লাগিয়ে মিটিং-মিছিল না করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রচারের পাশাপাশি ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় ক্লাবে গিয়ে চা চক্রের অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন দলীয় কর্মীদের নিয়ে। যেখানে দেখা গিয়েছে, স্থানীয় মানুষদের সাথে আলাপচারিতার মাধ্যমে তাদের কি অভাব অভিযোগ আছে তা শুনছেন এবং এলাকার মানুষদের সাথে কত আপন হয়ে পড়েছেন।
সেরকমই এক চা-চক্রের অনুষ্ঠানে এদিন দেখা গেল স্থানীয় শুভাশীষ বিশ্বাস যিনি পেশায় একজন শিক্ষক, তিনি ওই চা-চক্রে এসে পঙ্কজ এর ভূয়শী প্রশংসা করে বলেন, “পঙ্কজ একজন সুদক্ষ রাজনীতিবিদ তার পাশাপাশি পঙ্কজ একজন ভালো মানুষ। ওকে আমি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে চিনি। আমি কোনদিনই তাকে দেখিনি নিজেরটা ভাবতে। সব সময় পরোপকারী। আপনারা ওকে ভোট দিয়ে জেতান । ও জিতলে শুধু আপনাদেরই নয় গারুলিয়া পৌরসভার বিশাল এক পরিবর্তন আসবে। ওর মতো বেশ কয়েকজন ভালো মানুষ গারুলিয়া পৌরসভায় আছেন যারা মানুষের জন্য কাজ করেন এবং করতে চান।”
কিন্তু কেন এই চায়ের আড্ডাটা ভোট প্রচারের একটা মাধ্যম হিসেবে বেছে নিলেন পঙ্কজ বাবু ? জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, “প্রথমত দীর্ঘদিন লকডাউন ছিল ছাত্র-ছাত্রীরা ঘরে বসে পড়াশোনা করেছে। অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে তারা। আগামী আর কয়েক দিনের মধ্যেই মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এখন স্কুল খুলেছে সেই পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখেই নতুন করে তারস্বরে মাইক বাজিয়ে প্রচার করে পরীক্ষার্থীদের ডিস্টার্ব করাটা শোভা পায় না। তাছাড়া মাইক বাজিয়ে সভা করা মানে ওটা রাজনীতির একটা অঙ্গ,সেখানে স্থানীয় মানুষজনেদের কথা শোনা যায় না এবং তাদের কি অভাব অভিযোগ তাও জানা যায় না। তাই আমি এই চা-চক্র বা চায়ের আড্ডা টা বেছে নিয়েছি।”