ভারতের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি এবং কোটিপতি গৌতম আদানির (Gautam Adani) মালিকানাধীন আদানি পোর্টস বর্তমানে দেশের বৃহত্তম বন্দর পরিচালন সংস্থা। মুন্দ্রা বন্দর হল ভারতের বৃহত্তম বেসরকারী বন্দর। কিন্তু এখন দেশেই বড় বড় জলযান বানানোর বড় পরিকল্পনা করেছেন গৌতম আদানি।
আদানি (Gautam Adani) গ্রুপ তাদের মুন্দ্রা বন্দরে জাহাজ নির্মাণ শুরু করেছে। এর কারণ হ ‘ল চিন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের মতো দেশগুলি ২০২৮ সাল পর্যন্ত আর নতুন জাহাজ তৈরি করতে পারবে না, কারণ এখানে বড় শিপইয়ার্ডগুলি ২০২৮ সালের জন্য পুরোপুরি বুক করা আছে। এমন পরিস্থিতিতে জাহাজের বহর নিয়ে বৈশ্বিক সংস্থাগুলি নতুন জাহাজ তৈরির জন্য ভারত সহ অন্যান্য উৎপাদন কেন্দ্রগুলির দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
বর্তমানে ভারত বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম জাহাজ নির্মাতা। বিশ্বের বাণিজ্যিক জাহাজ নির্মাণ বাজারে ভারতের অংশ মাত্র ০.০৫ শতাংশ। সরকার তার ‘মেরিটাইম ইন্ডিয়া ভিশন ২০৩০’-এ ভারতকে এই ক্ষেত্রে শীর্ষ ১০-এর মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। একই সঙ্গে ‘ডেভেলপড ইন্ডিয়া ২০৪৭’-এর’ মেরিটাইম অমৃত কাল ভিশন-এ এই লক্ষ্যকে শীর্ষ ৫-এ রাখা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গৌতম আদানির (Gautam Adani) এই পদক্ষেপ সরকারের এই লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
গৌতম আদানির (Gautam Adani) জাহাজ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে বলতে গেলে, তিনি ইতিমধ্যে এটি নিয়ে কাজ করছিলেন, তবে মুন্দ্রা বন্দরের ৪৫,০০০ কোটি টাকার সম্প্রসারণ পরিকল্পনার কারণে এটি আটকে গিয়েছিল। ইটি-র একটি প্রতিবেদন অনুসারে, মুন্দ্রা বন্দর সম্প্রতি সম্প্রসারণের জন্য পরিবেশগত এবং অন্যান্য উপকূলীয় নিয়ন্ত্রণ ছাড়পত্র পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি এখন এই পরিকল্পনায় এগিয়ে যেতে পারেন। যদিও এই বিষয়ে ভারত সরকারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আদানি (Gautam Adani) গ্রুপের জাহাজ নির্মাণের ব্যবসা শুরু করার খবরটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন পুরো বিশ্ব এখন কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতে সবুজ জাহাজের দিকে এগিয়ে চলেছে। এর মাধ্যমে সারা বিশ্বের জাহাজের বহরে পরিবর্তন আনতে হবে এবং আগামী ৩০ বছরে প্রায় ৫০ হাজার জলযান সরবরাহ করতে হবে।
বর্তমানে ভারতে ৮টি সরকারি এবং ২০টি বেসরকারি শিপইয়ার্ড রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চেন্নাইয়ের কাছে লারসেন অ্যান্ড টুব্রোর কাট্টুপল্লি শিপইয়ার্ড এবং সরকারের কোচিন শিপইয়ার্ড।