নতুন বছরের শুরু অর্থাৎ চলতি মাসের ১লা তারিখ থেকে জন্মানো সমস্ত শিশু ‘জেন বিটা’ (Gen Beta Baby) প্রজন্মের অংশ হিসাবে পরিচিত হবে। ১৯০১ সাল থেকে এই পর্যন্ত আমরা যে প্রজন্মগুলোর মধ্য দিয়ে গিয়েছি, সেগুলো কী কী জানেন? ইনস্টাগ্রাম যেখানে জীবন, রিল যেখানে স্ট্রেস বাস্টার-এই আধুনিক জেন আলফা প্রজন্মের সঙ্গে পূর্ববর্তী প্রজন্মগুলির অনেক পার্থক্য রয়েছে।
এবার, তাদের থেকেও আলাদা হয়ে এসেছে ‘জেন বিটা’ প্রজন্ম
২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের ১লা তারিখের মধ্যরাতের পরে জন্মানো সমস্ত শিশুদের ‘জেন বিটা’ (Gen Beta Baby) প্রজন্ম বলা হবে। ২০৩৯ সালের ডিসেম্বর ৩১ পর্যন্ত জন্মানো শিশুরা এই প্রজন্মের অন্তর্ভুক্ত হবে।
একই সময়ে জন্মানো ব্যক্তিদের একটি নির্দিষ্ট সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রজন্মের নামকরণ করা হয়। প্রজন্মের এই নামকরণের প্রথা ১৯০১ সাল থেকে শুরু হয়েছিল। সেই অনুযায়ী,এই নামকরণের প্রথা ১৯০১ সাল থেকে শুরু হয়েছিল। সেই অনুযায়ী, ‘জেন বিটা’ (Gen Beta Baby) সপ্তম প্রজন্ম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রযুক্তি একীকরণ ও বৈচিত্র্যের বিশেষ অবদান এই প্রজন্মের মূল বৈশিষ্ট্য হবে।
এর আগের প্রজন্ম, অর্থাৎ ২০১০ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত জন্মানো শিশুদের ‘জেন আলফা’ বলা হয়। এই প্রজন্ম প্রযুক্তি ও ডিজিটাল বিশ্বে গভীরভাবে যুক্ত থেকে বেড়ে উঠছে। প্রায় ২০০ কোটি মানুষের নিয়ে, এটি বৃহত্তম প্রজন্ম।
তেমনি, ১৯৯৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত জন্মানোদের ‘জেন জেড’ প্রজন্ম বলা হয়। এই প্রজন্মকে রসিকতায় ‘করোনা ব্যাচ’ বলা হয় এবং গবেষণায় দেখ গেছে, তারা অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকট মোকাবিলায় দক্ষ।
১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত জন্মানোদের ‘মিলেনিয়ালস’ বলা হয়। লিঙ্গ বৈষম্য ও সামাজিক বাধা ভাঙার ক্ষেত্রে এদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
১৯৬৫ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত জন্মানোদের ‘জেন এক্স’ বলা হয়। এই প্রজন্মের অনেকেই বাবা-মা উভয়ের কাজ করার কারণে একাকী বাড়িতে বড় হয়েছেন। শিশুদের শিক্ষার গুরুত্ব এ সময়ে উপলব্ধি করা হয়।
১৯৪৬ থেকে ১৯৬৪ পর্যন্ত জন্মানোরা ‘বেবি বুমার’ নামে পরিচিত। এই প্রজন্মের মানুষরা তুলনামূলকভাবে দীর্ঘায়ু পেয়েছেন।
১৯২৮ থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত জন্মানোরা ‘নীরব প্রজন্ম’ হিসেবে পরিচিত। মন্দা ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বেড়ে ওঠা এই প্রজন্ম ঐতিহ্যবাহী জীবনের প্রতি অভ্যস্ত।
১৯০১ থেকে ১৯২৭ পর্যন্ত জন্মানোদের ‘গ্রেটেস্ট জেনারেশন’ বলা হয়। এই প্রজন্মের বেশিরভাগ মানুষ এখন শতবর্ষ পেরিয়েছেন।