ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক টাকার পতন নিয়ন্ত্রণ করতে সোনার ক্রয় (Gold Reserve) বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ এক বছরে মোট ৫০ টন সোনা কেনার (Gold Reserve) লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হবে। এর উদ্দেশ্য হল বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি মুদ্রার মূল্যের ওঠানামার ঝুঁকি হ্রাস করা। এছাড়া মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুপির মূল্য হ্রাস পেয়েছে।
তাই, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অক্টোবর মাস থেকে সোনা কেনার পরিমাণ বাড়িয়েছে। এর ফলে স্বর্ণের ভাণ্ডার (Gold Reserve) ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হয়ে উঠবে। বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ের অংশ হিসাবে স্বর্ণের মজুদ সেপ্টেম্বরের শেষে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছিল। এর ফলে মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুপির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা অনেক সহজ হয়ে গেছে।
সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারত ৩২.৬৩ টন সোনা কিনেছে
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩২.৬৩ টন সোনা কিনেছে। ভারতের স্বর্ণের মজুদ (Gold Reserve) গত বছরের মার্চ মাসে ৫২.৬৭ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৬৫.৭৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) এক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ৩২৪.০১ মেট্রিক টন ভারতীয় সোনা (Gold Reserve) ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড এবং ব্যাঙ্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টের সুরক্ষিত হেফাজতে রয়েছে।
১৯৯১ সালে ৮৭ টন সোনা বন্ধক রাখতে হয়েছিল
১৯৯১ সালে ঋণখেলাপি এড়াতে এবং ঋণ বাঁচাতে ভারতকে ৮৭ টন সোনা বন্ধক রাখতে হয়েছিল। এর পরেই ভারত জরুরি অবস্থার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ পেতে সক্ষম হয়, যাতে আমদানির জন্য বৈদেশিক মুদ্রা প্রদান করা যায়। উচ্চ আমদানি এবং টাকার পতনের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ হ্রাস পাওয়ার পরিস্থিতিতে ১৯৯১ সালের ঘটনাটি ভারতের জন্য একটি শিক্ষা। এই কারণে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের জোর দেওয়া হচ্ছে যতটা সম্ভব সোনার মজুদ বাড়ানো।