একাধিক ইস্যুতে নবান্ন ও রাজভবনে দূরত্ব (Governor-Chief Minister conflict) বাড়লেও বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে অনেকটাই সুর নরম দুই পক্ষের। একদিকে বিধানসভায় এসে রাজ্যের নতুন ৬ বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন রাজ্যপাল। অপরদিকে উপাচার্য নিয়োগে সুপ্রিমকোর্টের বক্তব্যের পর অনেকটাই ধীরে চলো নীতি বেছে নিতে বাধ্য হওয়া। তাই সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকারে পিছপা হবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(CM Mamata Banerjee) এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলে।
সূত্রের খবর সোমবার বিকেল পাঁচটায় রাজভবনের মুখোমুখি (Governor-Chief Minister conflict)হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চা চক্রে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিয়ে আলোচনা হতে পারে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর। যার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিষয় অন্যতম।
প্রসঙ্গত, সিভি আনন্দ বোস (Governor-Chief Minister conflict) রাজ্যপালের আসনে বসার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল। বাংলা বিষয়ক পাঠ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল। ২০২৩ সালে সরস্বতী পুজোয় হাতিখড়ি অনুষ্ঠানে আয়জন করেন বোস। তার হাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বর্ণপরিচয় তুলে দিতে দেখেছে রাজ্যবাসী।
তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসায় রাজ্যের প্রতি যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হন রাজ্যপাল। বরানগর(Baranagar) ও ভগবানগোলা(Bhagabangola) উপ নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীর শপথ বাক্য পাঠে চলে বিস্তর দড়ি টানাটানি। সিভি আনন্দ বোস রাজভবনের অন্দরে শপথের আহবান জানালেও তাতে রাজি হননি বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (MLA Sayantika Banerjee) ও রেয়াত হোসেন( MLA Reyar Hussain)। যদিও এবার চিত্রে এসেছে বদল। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ৬ বিধায়ককে বিধানসভায় এসে শপথ বাক্যপাঠ করান রাজ্যপাল। এমনকি ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যে সরকারের সুপারিশে সিলমোহর দিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস।
সোমবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের বৈঠক (Governor-Chief Minister conflict) কতটা মসৃণ করবে রাজভবন ও নবান্ন যাত্রাপথ সে দিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী।