নয়াদিল্লিঃ এক মাসের মধ্যেই দিল্লির অভিজাত লোধি এস্টেটের বাংলো খালি করে দিতে বলা হল কংগ্রেস দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাকে। এর আগে চলে গিয়েছিল এসপিজি নিরাপত্তা। এবার চলে গেল সরকারি বাড়িও।
এসপিজি নিরাপত্তা পান না বলে ওই বাড়িটিতে থাকার অধিকার আর নেই কংগ্রেস নেত্রীর। এই যুক্তি দেখিয়ে তাঁকে বাড়ি খালি করতে বলেছে আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। এর জন্য এক মাস সময় তাঁকে দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ ১ আগস্টের মধ্যে খালি করতে হবে।
মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে এখন যেহেতু প্রিয়াঙ্কা এসপিজি নিরাপত্তা পান না। তাই টাইপ ৬৮-এর বাড়িতে থাকার শর্ত তিনি পূর্ণ করেন না। এই জন্যে বাড়ি ছাড়তে হবে। পয়লা অগস্টের পর থাকলে তাঁকে ফাইন দিতে হবে, এই বিষয়েও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে বলা হয়েছে তিনি যেন অদেয় ৩৪৬৬৭৭ টাকা দ্রুত মিটিয়ে দেন। এই সময়ের সমস্ত বাকি টাকা ও ভাড়া মিটিয়ে দিতে চিঠিতে বলা হয়েছে। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী বাংলো রাখার কো নও উপায় নেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কাছে, যদি না তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে সুপারিশ জোগাড় করতে পারেন।
এখন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সিআরপিএফ নিরাপত্তা দেয়। Z+ সিকিউরিটি পান তিনি। কিন্তু সেটায় সরকারি বাড়ি মেলেনা যদি না তাঁর বিপদের সম্ভাবনা নিয়ে বিশেষ কোনও সুপারিশ পাঠায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
১৯৯৫ সালে ৩৫ লোধি এসটেটের এই বাড়িটি পেয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। দুই দশকে ক্রমশ ফিকে হয়েছে কংগ্রেসের রাজনৈতিক ক্ষমতা। তারই ফলে এবার বাস্তুচ্যূত হতে চলেছেন গান্ধী পরিবারের অন্যতম সদস্য প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা।
যদিও নিয়ম অনুযায়ী সরকারি যে নোটিস ইস্যু করেছে তাতে কোনও ভুল নেই। কিন্তু এও ঠিক, নয়াদিল্লির রাজনৈতিক ইতিহাসে এ ধরনের সংকীর্ণতা অতীতে ছিল না। বাজপেয়ী জমানায় কংগ্রেসের নেতারা সংসদের সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও সরকারি বাংলোতে থাকার সুযোগ পেয়েছেন। আবার কংগ্রেস জমানায় বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও সরকারি বাংলোতে থেকেছেন। এমনকি এও ঘটেছে যে নোটিস ধরানোর পরেও বাংলো ছাড়তে চাননি।