নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রামঃ “লকডাউনে শালজঙ্গলে ঘেরা পর্যটকহীন পার্কে একাধিক পশু-পাখি শাবকের জন্ম দিয়েছে। মনের আনন্দে ঘুরেও বেড়াচ্ছে এনক্লোজারে। নেই কোন চিৎকার-চেঁচামেচি। শুধুই কলরব। নতুন অতিথিদের আগমনে খুশির হাওয়া জঙ্গলমহল জুওলজিক্যাল পার্কের আনাচে-কানাচে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রাম মিনি জু র নাম বদল করে জঙ্গলমহল জুওলজিক্যাল পার্ক নাম রাখেন। সেই সঙ্গে পার্কের এলাকাও বৃদ্ধি করে বেশ কিছু নতুন পশুপাখি নিয়ে আসা হয়। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে উত্তরবঙ্গের খয়েরবাড়ি পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে পুরুষ চিতাবাঘ সোহেল এবং ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে স্ত্রী চিতাবাঘ হরিণী- কে নিয়ে আসা হয়।
চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল পার্কের এনক্লোজারে শাবকের জন্ম দেয় হরিণী। তবে সদ্যোজাত শাবককে খেয়ে ফেলেছে তার মা এমনটাই জানিয়েছিলেন পার্ক কর্তৃপক্ষ। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এনক্লোজারের মধ্যে লাগানাে হয় সিসিটিভি ক্যামেরা। গত ২ সেপ্টেম্বর””হর্ষিণী ফের দুটি পুরুষ শাবকের জন্ম দেয়। শাবক প্রসবের আগেই আলাদা এনক্লোজারে সরিয়ে দেওয়া হয় পুরুষ চিতাবাঘ সোহেল। সিসিটিভি মাধ্যমে নজরদারি চালানাে শুরু হয় দুই শাবকের উপরে।
প্রথমবার শাবকের জন্মের পর মানুষের উপস্থিতিতে হিংস্র হয়ে নিজের শাবককে খেয়ে ফেলেছিল মা, এমন যুক্তি দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এর আগে হায়না শাবক প্রসব করলেও খেয়ে ফেলেছিল। তবে শুধু চিতাবাঘ নয়, ময়ূরের এই প্রথমবার ডিম ফুটে বাচ্চা হল এনক্লোজারে। চারটি বড় ময়ূর থাকলেও কোনওদিন ডিম ফুটে বাচ্চা হয়নি। এখন দিব্যি মা ময়ূরের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে বাচ্চাগুলি। এমু পাখির একটি বাচ্চা হয়েছে।
এছাড়াও নীল গাই, হরিণ-সহ একাধিক পশু- পাখি সন্তান প্রসব করেছে লকডাউনের মধ্যে । জুওলজিক্যাল পার্কে পশু পাখিদের প্রসব হওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ এস হােলেইচ্চি।