থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করল নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ (North Bengal Medical College)। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (North Bengal Medical College) টিএমসিপি ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত একাধিক ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শাহিন সরকার সহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ (North Bengal Medical College)। জানা গিয়েছে, ইন্টার্নশিপ থেকে সোহম মণ্ডলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সোহম মণ্ডলের বিরুদ্ধে নম্বর বাড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। সোহম মণ্ডলের পরীক্ষার কথা পুনর্মূল্যায়ন করা হবে। অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি থেকে সরানো হয়েছে প্রাক্তন ডিন সন্দীপ সেনগুপ্তকে।
নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজের (North Bengal Medical College) অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, “কলেজ কাউন্সিল যাঁদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাঁদেরকে আমরা ডিসকলেজিয়েট করব। অনেক হাউজস্টাফের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাউজস্টাফশিফ টারমিনেট করা হবে। তাঁদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাওয়ার বিষয়ে আমরা আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো। যাঁরা মূল অভিযুক্ত, যাঁদের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, তাঁদের কয়েকজন ধরা পড়েছে। যাঁরা আবার সেই থ্রেট কালচার চালু করার চেষ্টা করবেন, তাঁদের বহিষ্কার নিশ্চিত করতে হবে। নাহলে আবার একই পরিস্থিতি তৈরি হবে।”
প্রসঙ্গত আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মেডিক্যাল কলেজগুলোর থ্রেট কালচার সামনে উঠতে শুরু করেছে। থ্রেট কালচার ও দুর্নীতির মধ্যে করে পরীক্ষার নম্বর বাড়ানো, র্যাগিং সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে। জুনিয়র চিকিৎসকরা মেডিক্যাল কলেজগুলোতে দুর্নীতির বাসা ভাঙতে হবে বলে দাবি তুলেছে। সেই দাবিতেই তাঁরা মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা করুণাময়ী থেকে স্বাস্থ্য ভবন পর্যন্ত মিছিল করে যান। সেই মিছিলের শুরুর দিকে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা থাকলেও, যোগ দিয়েছেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ। বিশাল লম্ব সেই মিছিলের অগ্রভাগ স্বাস্থ্য ভবনের কাছাকাছি পৌঁছে গেলেও পেছনের অংশ এখনও করুণাময়ীর কাছে রয়েছে। আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিবের পদত্যাগ দাবি করেছেন।