অভিনেত্রী ও সাংসদ কঙ্গনা রানাউতের কৃষি আইন নিয়ে বক্তব্য বিরোধীদের হাতে বিজেপিকে আক্রমণ করার সুযোগ করে দিয়েছে। কঙ্গনা পরে ব্যাখ্যা করে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছেন, কিন্তু হরিয়ানার নির্বাচনে (Haryana Elections 2024) এটি একটি বড় ইস্যুতে পরিণত হয়ে গেছে।
কঙ্গনা পরে সাফাই দিয়ে বলেছেন যে এটি তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। তবে এখন তাতে কোনও লাভ হবে না বিজেপির। কারণ, এই বক্তব্যের মাধ্যমে কঙ্গনা রানাওয়াত হরিয়ানায় বিজেপিকে (Haryana Elections 2024) অনেকটাই ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছেন। জন্য একটি বড় ফাঁদ তৈরি করেছেন।
মঙ্গলবার নিজের নির্বাচনী এলাকা মান্ডিতে এই মন্তব্য করেন কঙ্গনা। তার সেই বক্তব্য প্রতিধ্বনিত হয়ে হিমাচলের উপত্যকা থেকে হরিয়ানার রাজনৈতিক গলিতে পৌঁছয়। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছে, এই বক্তব্য কঙ্গনার নয়, বিজেপিরই বক্তব্য।
গত মাসে কঙ্গনা কৃষকদের সম্পর্কে একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন এবং এখন এক মাসের মধ্যে তিনি আবার বেফাঁস বলে দলকে বিপদে ফেলেছেন। তিন বছর আগে, ২০২১ সালে, কৃষকদের আন্দোলনের কারণে প্রধানমন্ত্রীকে তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হয়। মিটে যাওয়া মামলায় ফের স্ফুলিঙ্গ দিয়ে কৃষি আন্দোলনের মঞ্চ তৈরি করে দিলেন কঙ্গনা। এতে সবথেকে বড় বিপদে পড়ল তার দল বিজেপি। বিশেষ করে হরিয়ানায় বিধানসভা (Haryana Elections 2024) ভোটের মুখে দলের জন্য বিপদ ডেকে আনলেন কঙ্গনা।
গত মাসে, কঙ্গনাকে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা তলব করেছিলেন এবং এমন কোনও বক্তব্য না দেওয়ার জন্য সতর্ক করেছিলেন, যা দলের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করবে, কিন্তু কঙ্গনা রাজি হননি। গত এক মাস ধরে তিনি বিজেপিকে অস্থির করে তুলেছেন। এটাই হরিয়ানায় (Haryana Elections 2024) বিজেপির পরাজয়ের কারণ হতে পারে।
শুধু কৃষকদের আন্দোলন এবং কৃষি আইন নিয়ে নয়, কঙ্গনা এর আগে বহুবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন, যার কারণে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে এক মহিলা সিআইএসএফ কর্মী বিজেপি সাংসদকে চড়ও মেরেছিলেন। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলার অভিযোগও তোলেন কঙ্গনা।