Haryana: রামপালকে নিজের হাতে জুতো পরিয়ে ১৪ বছরের প্রতিজ্ঞা পূরণ করালেন মোদী!

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ হরিয়ানার (Haryana) হিসার এবং যমুনানগর সফরে ছিলেন। যেখানে তিনি হিসার বিমানবন্দর উদ্বোধন করেন এবং যমুনানগরের তাপবিদ্যুতের তৃতীয় ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ইতিমধ্যে, হিসারের মহারাজা অগ্রসেন বিমানবন্দর থেকে প্রথম বিমানটি অযোধ্যার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়, যা প্রধানমন্ত্রী মোদী পতাকা প্রদর্শন করে উদ্বোধন করেন। এই সময়, এমন একটি ঘটনা ঘটে, যা সকলকে আবেগপ্রবণ করে তোলে। যমুনানগরের কৈথাল জেলার বাসিন্দা রামপাল কাশ্যপকে প্রধানমন্ত্রী মোদী নতুন জুতা উপহার দেন এবং নিজের হাতে তাকে জুতো পড়িয়ে দেন। যার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই এই ভিডিওটি তার সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন।

Image

রামপাল কাশ্যপ কে?

রামপাল কাশ্যপ হরিয়ানার (Haryana) কৈথাল জেলার বাসিন্দা, যিনি ১৪ বছর আগে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে মোদী প্রধানমন্ত্রী না হন এবং তিনি যতদিন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ না করেন, ততদিন তিনি জুতো পরবেন না। আজ প্রধানমন্ত্রী মোদী তার সাথে দেখা করেন এবং তাকে নিজের হাতে জুতো পরিয়ে দেন। অদ্ভুত বিষয় হল, শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, যেকোনও মরশুমে তিনি খালি পায়ে হাঁটছিলেন। এর পরেও তিনি তার সংকল্পে অটল ছিলেন। অবশেষে ১৪ বছর পর তার সংকল্প পূর্ণ হল। প্রধানমন্ত্রী মোদী তার সাথে দেখা করে জিজ্ঞাসা করলেন, আরে ভাই তুমি এটা কেন করলে? তবে, জুতা পরতে সাহায্য করার সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদী তাকে ভবিষ্যতে এমন কোনও প্রতিজ্ঞা না করার জন্য বলেছিলেন। আপনাদের জানিয়ে রাখি, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে দেখা করার আগে রামপাল কাশ্যপ ১৪ বছর খালি পায়ে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তার দৃঢ় সংকল্পের প্রশংসা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই ভিডিওটি পোস্ট করেছেন

প্রধানমন্ত্রী নিজেই তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ রামপাল কাশ্যপের পায়ে জুতো পরানোর ভিডিওটি পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন – “আজ আমার হরিয়ানার যমুনানগরের কৈথালের রামপাল কাশ্যপজির সাথে দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছে। তিনি ১৪ বছর আগে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে ‘মোদী প্রধানমন্ত্রী না হওয়া পর্যন্ত এবং তাঁর সাথে দেখা না হওয়া পর্যন্ত আমি জুতা পরব না।'” আজ আমি তাকে জুতো পরানোর সুযোগ পেয়েছি। আমি এই ধরণের সকল বন্ধুদের অনুভূতিকে সম্মান করি, কিন্তু আমি এমন সবাইকে অনুরোধ করছি যে এই ধরণের প্রতিশ্রুতি নেওয়ার পরিবর্তে, তাদের উচিত কিছু সামাজিক বা জাতীয় কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া।”