উত্তরপ্রদেশের এই শহরে এ বার এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট (Hathras Stamped) হয়ে মৃত্যু হল অনেকের। ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সেই হাথরসের এক দলিত কিশোরীর গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। সেই হাথরসই আবার পদপিষ্টের ঘটনায় গোটা দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। আর তার সঙ্গে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য এবং পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য ইটা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। ইটা-র চিফ মেডিক্যাল অফিসার, ডা. উমেশ কুমার ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, ২৭ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন। এর মধ্যে দুজন পুরুষ, বাকিরা মহিলা বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, ইটার এসএসপি রাজেশ কুমার জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে একজন পুরুষ, ৩জন শিশু এবং ২৩ জন মহিলা। কাজেই মৃতদের পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে।
জানা গিয়েছে, রতিভানপুরে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল মঙ্গলবার। অনুষ্ঠান শেষ হতেই একটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ওই অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থী জমায়েত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। পদপিষ্টের (Hathras Stamped)পরিস্থিতি তৈরি হয়। আর তাতেই বেশ কয়েক জনের মৃত্যু আশঙ্কা করা হচ্ছে
এটার পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার সিংহ বলেন, “হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। সেই সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এখনও পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২৩ জন মহিলা, তিন শিশু এবং এক জন পুরুষ রয়েছে। কেন এবং কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
হাতরাসের ডিএম আশিস কুমার বলেন, ‘জেলা প্রশাসন কাজ করছে। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং চিকিৎসা চলছে। ডাক্তাররা আমাকে বলেছেন মৃতের সংখ্যা প্রায় 50-60 জন। অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি এসডিএম দিয়েছিল এবং এটি একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান ছিল… বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রশাসনের অগ্রাধিকার হচ্ছে আহত ও নিহতদের পরিবারকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা।