হিন্দুস্তান কপার লিমিটেডের কোলিহান খনিতে মঙ্গলবার লিফটের তার ছিঁড়ে যায় (HCL Lift Collapse)। যার কারণে লিফটটি ধাক্কা খেয়ে খনির ১৮০০ ফুট নিচে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার সময় লিফটে প্রায় ১৪ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন চলছে ………
রাজস্থান খেত্রির হিন্দুস্তান কপার লিমিটেডের কোলিহান খনিতে মঙ্গলবার লিফটের তার ছিঁড়ে(HCL Lift Collapses) ১৮০০ ফুট নিচে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার সময় লিফটে প্রায় ১৪ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এই কর্মকর্তাদের বেশিরভাগই হিন্দুস্তান কপার লিমিটেডের সদর দফতর কলকাতা থেকে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি মাটির প্রায় ১৮০০ ফুট নিচে। দুর্ঘটনার পর আশেপাশের সমস্ত অ্যাম্বুলেন্সকে ঘটনাস্থলে ডাকা হয়েছে। জরুরি অবস্থার জন্য চিকিৎসকদের দলও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, হিন্দুস্তান কপার লিমিটেডের সদর দফতর কলকাতা থেকে সোমবার ভিজিল্যান্স টিম এসেছিল এবং গতকাল থেকেই খনি পরিদর্শন চলছিল। মঙ্গলবার বিকেলে দলটি খেত্রী নগর খনি পরিদর্শন করে।
বিকেল ৫টার দিকে দলটি কোলিহান মাইনে পৌঁছায়। এরপর কেসিসি প্রধানসহ ভিজিল্যান্স টিম খনিতে নামেন।
রাত ৮টা ১০ মিনিটে মাইন থেকে বের হওয়ার সময় লিফটের চেইন ভেঙে যায়।
৩২৪ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ৩০০টিরও বেশি ভূগর্ভস্থ খনি
খেতরী ও আশপাশের এলাকায় তামার মজুত রয়েছে। এই পুরো এলাকাকে কপার সিটি বলা হয় এবং দেশের ৫০ শতাংশ তামা তোলা হয় এই পাহাড় থেকে।
কোলিহান এলাকায় প্রায় ৩২৪ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে ৩০০টিরও বেশি ভূগর্ভস্থ খনি রয়েছে। যেখানে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাইনাস ১০২ মিটার গভীরতায় তামা তোলা হয়। এমন পরিস্থিতিতে এটিই দেশের প্রথম বৃহত্তম ও গভীরতম তামার খনি। এখান থেকে উত্তোলিত তামার গুণমানের কারণে এটি লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জের এ গ্রেডের অন্তর্ভুক্ত এবং সে কারণেই এই তামা থেকে দেশের নিরাপত্তা সরঞ্জাম তৈরি করা হয়।
যেসব মানুষেরা খনিতে আটকা পড়েছেন তাঁরা হলেন
পান্ড্য, সিবিও
জিডি গুপ্ত, কেসিসি ইউনিট প্রধান মো
ভি ভান্ডারী, ডিএসএম
এ কে শর্মা
কে এস সাহলট
রমেশ কুমার
এ কে বাইহরা
বিনোদ শেখাওয়াত
এএ ভান্ডারী
এন সহায়
প্রীতম সিং
বিকাশ পারীক
হানসি রাম
আর এক জনের নাম জানা জায়নি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারের কাজ। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায় নি।