মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে ভারী বর্ষণে (Heavy Rain in Dubai) বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আবুধাবি, দুবাই ও আল আইনের মতো শহরে ভারী বর্ষণের পর বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অনেক বড় হাইওয়ে ও বিমানবন্দর প্লাবিত। যার জেরে বিমান চলাচলও ব্যাহত হয়। এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর প্রতিবেশী ওমানও ভারী বর্ষণের কারণে বন্যার কবলে পড়েছে। বন্যার কারণে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অনেক লোক নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার ও মঙ্গলবার রাত থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা গেছে। দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল ব্যাহত হয়েছে। দুবাই বিমানবন্দরকে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর হিসেবে গণ্য করা হয়। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১২০ মিমি (৪.৭৫ ইঞ্চি) এর বেশি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। শহরের রাস্তাঘাট জলে ভরে গেছে। তুমুল বৃষ্টি ও ঝড়ে দুবাই অচল হয়ে পড়েছে। মরুর দেশে দেখা দিয়েছে বন্যা। রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টির কারণে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দরে। বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিলম্ব হচ্ছে বা উড়োজাহাজ অবতরণ করতে পারছে না। বন্যার জলে সড়কে গাড়ি আটকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘বৃষ্টির কারণে জল জমে যাওয়ায় ফ্লাইট বিলম্ব হচ্ছে এবং বিমানবন্দরগামী উড়োজাহাজ অবতরণ করতে পারছে না। আমরা এই কঠিন পরিস্থিতিতে যতটা দ্রুত সম্ভব বিমানবন্দরের কাজকর্ম শুরুর চেষ্টা করছি।’
দুবাই বিমানবন্দরগামী বা বিমানবন্দর ত্যাগের অপেক্ষায় থাকা পাঁচ শর বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আজ বুধবার আরও ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ভারতের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারত থেকে দুবাইগামী প্রায় ১৫টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। আবার দুবাই থেকে ভারতমুখী ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
দুবাইয়ের সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ কোম্পানি এমিরেটাস জানিয়েছে, দুবাইয়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তাদের সব ফ্লাইটের যাত্রীদের চেক-ইন বন্ধ রাখা হয়েছে। উড়োজাহাজ কোম্পানিটি জানায়, এমিরেটাস কর্তৃপক্ষ ফ্লাইটের সময়সূচি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
আবহাওয়া দফতরের উপদেষ্টা অনুযায়ী, বুধবারও পর্যন্ত বৃষ্টি ও ঝড়ের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়া দপ্তর জনগণকে অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বৃষ্টির কারণে বিমানবন্দরের পাশাপাশি অনেক মল, মেট্রো স্টেশন এবং অন্যান্য পাবলিক প্লেস সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে কাতার, বাহারিন ও সৌদি আরবের অবস্থা খুবই খারাপ। তথ্য অনুযায়ী, দুবাই বিমানবন্দরে জলাবদ্ধতার কারণে বিমান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৪৫টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং ৩টি ফ্লাইট অন্য বিমানবন্দরে ডাইভার্ট করা হয়েছে।