আবু আলী, ঢাকা: আজ মহামারী করোনা ভাইরাস মনে করে দেয় ভূপেন হাজারিকার বিখ্যাত সেই গানের কথা- মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে। একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না? ও বন্ধু….। সত্যি আজ দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এসেছেন অসহায় মানুষের পাশে। করোনায় সবচেয়ে সমস্যায় পরেছেন নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ফেসবুক গ্রুপ ‘হেলপ পিপল। এছাড়াও করোনার মধ্যে সমস্যায় পড়েছে বেওয়ারিশ প্রাণীকুল।
এসব বেওয়ারিশ প্রাণীদের খাবার দিচ্ছে ফেসবুক গ্রুপ ‘হেলপ পিপল। পাশাপাশি গর্ভবতী মায়েদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসও চালু করেছে। জানা গেছে, গর্ভবতী নারীরা চিকিৎসক দেখানো, হাসপাতালে ভর্তিসহ যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে এই গ্রুপের হটলাইন নম্বরে ফোন দিয়ে সাহায্য নিতে পারবেন। এজন্য অবশ্য তাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। ঢাকায় সীমিত পরিসরে এই সার্ভিস চালু করা হয়েছে। পরিবহন সার্ভিস নেয়ার হটলাইন নম্বরগুলো হচ্ছে ০১৬১৮-৫৬৭৮৯০ এবং ০১৯৬০-৭৮৮৫০৭। হেলপ পিপল গ্রুপ-এর প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক শাহরিয়ার জামান দীপ ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা এনটিভির সংবাদ উপস্থাপিকা শারমিন নাহার লিনা।। দীপ বলেন, ‘এই সার্ভিসের মাধ্যমে গর্ভবতী নারীরা জরুরি প্রয়োজনে ২৪ ঘণ্টা হটলাইন নম্বরে ফোন করে তাদের পছন্দমতো ছোট-বড় গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এর জন্য তাদের নির্দিষ্ট ভাড়া দিতে হবে। প্রাথমিকভাবে সীমিত আকারে এই সেবা চালু হলেও শিগগিরই পুরো ঢাকা শহরের বাসিন্দারা এই সেবা পাবেন।’ গ্রুপের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিষ্ঠাতা শাহরিয়ার জামান দীপ বলেন, ‘করোনায় সাধারণ মানুষকে সাহায্যের কথা চিন্তা করে গত ৩১ মার্চ গ্রুপটি খোলা হয়। গ্রুপটি খোলার পর এ পর্যন্ত আমরা ৪ হাজার ৫০০ মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিতে পেরেছি।পাশাপাশি ১০০০ পরিবারকে তিনদিনের সমপরিমাণ খাবার, ১ হাজার প্রাণীকে একবেলা করে খাবার, ঢাকার ১০০ এলাকায় কীটনাশক স্প্রে করা হয়েছে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে রক্ত সরবরাহের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা রয়েছে।’ এছাড়াও ২০ জন গর্ভবতী মাকে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আমরা দুস্থ পরিবার,এতিম শিশু,তৃতীয় লিঙ্গদেরকেও সহায়তা করেছি। তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে আমাদের সাহায্য পাঠাচ্ছেন। সেই টাকা দিয়ে রমজানে গ্রুপের পক্ষ থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন ব্যাংক, হাসপাতাল, দোকানের গার্ডসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৫০ জনকে ইফতার দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি যাকাতের টাকা সংগ্রহ করেও গরিব ও দুস্থদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়া হচ্ছে।’ ভবিষ্যতে সহযোগিতার কাজগুলোকে এগিয়ে নিতে একটি ফাউন্ডেশন গড়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান দীপ। তিনি বলেন, এ কাজে আমার প্রতিটি সদস্য প্রতিদিন খুব সাহায্য করছে। তাদের এ সাহায্য ছাড়া এতদূর আসা সম্ভব ছিল না। হেলপ পিপলকে সাহায্য পাঠানোর নম্বর ০১৭১৬-০০৯৬৯৪, বিকাশ, পার্সোনাল।