ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) নেতা হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছেন। তিনি রাজ্যের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন চম্পাই সোরেন। জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন রাজভবনে রাজ্যপাল সি পি রাধাকৃষ্ণণের সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানান। তৃতীয়বারের জন্য রাজ্য সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন হেমন্ত সোরেন। এর আগে, দাবি করা হয়েছিল যে হেমন্ত ৭ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন। এর আগে, রাঁচিতে চম্পাই সোরেনের বাসভবনে এক বৈঠকে ক্ষমতাসীন জোটের নেতা ও বিধায়করা সর্বসম্মতভাবে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা বিধায়ক দলের নেতা হিসাবে হেমন্ত সোরেনকে নির্বাচিত করেন।
গতকাল রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর চম্পাই সোরেন বলেন, ‘জেএমএম নেতৃত্বাধীন জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি পদত্যাগ করেছি। রাজ্যে আমাদের জোট শক্তিশালী। সবাই জানে হেমন্তের সঙ্গে কী হয়েছে। তাঁর চলে যাওয়ার পর জোটের শরিকরা আমাকে রাজ্যের দায়িত্ব দিয়েছিল। এখন, জোট হেমন্ত সোরেনের পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এদিকে, হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren) বলেছেন, রাজ্যে নতুন সরকার গঠনের জন্য সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানতে চাইলে জেএমএমের কার্যকরী সভাপতি বলেন, শীঘ্রই সবকিছু ব্যাখ্যা করা হবে। তৃতীয়বারের জন্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন হেমন্ত সোরেন।
রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করা রাজ্যের শাসক জোটের প্রতিনিধিদলে ছিলেন চম্পাই সোরেন ও হেমন্ত সোরেন ছাড়াও রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ ঠাকুর, রাজ্য কংগ্রেস ভারপ্রাপ্ত গুলাম আহমেদ মীর, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) নেতা ও মন্ত্রী সত্যানন্দ ভোক্তা, সিপিআই (এমএল) বিধায়ক বিনোদ সিং।
জমি কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত অর্থ পাচারের মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর গত মাসের 28 জুন জেল থেকে মুক্তি পান হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। প্রায় পাঁচ মাস তিনি কারাগারে ছিলেন। ৩১শে জানুয়ারি গ্রেফতার হওয়ার আগে হেমন্ত বছরের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। হেমন্ত এমন এক সময়ে রাজ্যের শাসনভার গ্রহণ করছেন যখন কয়েক মাস (নভেম্বর-ডিসেম্বর) বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা।