ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলেছে, আমরা আপনার আবেদন গ্রহণ করব না। আদালত সোরেনের আইনজীবী কপিল সিবালকে আবেদনটি প্রত্যাহার করতে বলেছে। আদালতের আদেশ মেনে নিয়ে সিবাল আবেদনটি প্রত্যাহার করে নেন। জমি কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত অর্থ পাচারের মামলায় সোরেন রাঁচির একটি কারাগারে রয়েছেন। মামলার শুনানির সময় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) যুক্তি দিয়েছিল যে যদি হেমন্ত সোরেনকে প্রচারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়, তবে কারারুদ্ধ সমস্ত নেতারা জামিন চাইবেন।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করা শীর্ষ আদালতের আদেশের কথা উল্লেখ করেছিলেন হেমন্ত সোরেন। তিনি নিজের জন্যও একই ধরনের স্বস্তি চেয়েছিলেন। রাঁচিতে ৮.৮৬ একর জমি নিয়ে সোরেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ইডি। এর আগে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে তাঁর আবেদনের শুনানি হয়। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও সতীশ চন্দ্র শর্মার অবকাশকালীন বেঞ্চ বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট সোরেনকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে একটি জমি কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত অর্থ পাচারের মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগের বিচারের পরে একটি সাংবিধানিক আদালত তাঁর গ্রেপ্তারের বৈধতা পরীক্ষা করতে পারে কিনা। নিয়মিত জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের জন্য কীভাবে তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া যেতে পারে, তা প্রথমে ব্যাখ্যা করতে বেঞ্চ সোরেনের আইনজীবীকে বলে। সোরেনের আইনজীবীরা আদালতের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য বুধবার পর্যন্ত সময় চেয়েছিলেন।
ইডি-র পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু সোরেনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে যুক্তি দিয়েছিলেন যে তাঁর মামলা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের চেয়ে আলাদা, যাকে সাধারণ নির্বাচনে প্রচারের জন্য ১০ মে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, সোরেনের বিরুদ্ধে একটি প্রাথমিক মামলা পাওয়ার পর ৪ এপ্রিল বিচারিক আদালত রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগের বিষয়টি আমলে নেয়।
সোরেনের আবেদনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রাথমিক আপত্তি তুলে ইডি বলেছে, ‘এই মামলাটিকে অন্য মামলার (কেজরিওয়ালের মামলা) সঙ্গে তুলনা করা যায় না। অন্যথায়, প্রতিদিন কেউ না কেউ গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাতে আসবে এবং ফৌজদারি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে’। ইডি বলেছে যে, কেজরিওয়ালের মামলার বিপরীতে, ১৬ই মার্চ লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার অনেক আগে ৩১শে জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।