কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশের পরিস্থিতি খুবই উত্তাল হয়ে উঠেছে বিগত কয়েকদিনে। গত বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার মিলিয়ে সেদেশে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১০০ জনের। এই আবহে উত্তর ২৪ পরগনার ঘোজাডাঙা, পেট্রাপোল সীমান্তে রফতানি বন্ধ করা হয়েছে। আমদানিও প্রায় ‘না’-এর সমান। এর জেরে বাংলাদেশ থেকে মাছ (Hilsha Ilsha)আসছে না ভারতে। আর তাই কয়েক কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে এপার বাংলার ব্যবসায়ীদের।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে প্রতি দিন বিপুল পরিমাণে মাছ (Hilsha Ilsha) আমদানি করা হয় পশ্চিমবঙ্গে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ট্যাংরা, ভেটকি, পাবদা সহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় ১০০ টন মাছ রোজ বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা হয় হাওড়ার মাছের বাজারে। তবে বিগত কয়েকদিন ধরে কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে সেই মাছ আমদানি বন্ধ রয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে প্রতি দিন কোটি কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে এপার বাংলার মাছ ব্যবসায়ীদের। বাজারে মাছের টান পড়েছে।
এদিকে বাংলাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ। তাই অনলাইনে টাকা পাঠানো বা নতুন করে মাছের অর্ডারও দিতে পারছেন না এ দেশের মাছ ব্যবসায়ীরা। গতকাল থেকে পেট্রাপোল সীমান্তে বাণিজ্য বন্ধ করা হয়েছে। তবে তার আগে পর্যন্ত দু-তিনদিন সেভাবে কোনও গাড়ি বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসতেও পারেনি। এর জেরে চরম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন এপার বাংলার মাছ ব্যবসায়ীরা। এদিকে পরবর্তীতে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ (Hilsha Ilsha) আমদানি করা যাবে কি না, তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে।
এদিকে বিগত কয়েকদিন ধরেই পণ্যবোঝাই বহু ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে পেট্রাপোল সীমান্তে। আনাজ ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য পচে যাচ্ছে এর জেরে। বাংলাদেশের এই অশান্ত পরিস্থিতির জন্যে মাছ ব্যবসায়ী ছাড়াও এপারে মুদ্রা বিনিময় ব্যবসায়ী এবং পণ্যবাহী ট্রাক চালকরা বড় ক্ষতির সম্মুখীন।
বাংলাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় ভারতের পণ্যবোঝাই ট্রাক সীমান্তে পৌঁছলেও ওপার থেকে অনলাইনে চালান পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে সড়কপথে সীমান্ত পারাপারও এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই আবহে আমদানিও চলছে অত্যন্ত ধীর গতিতে। এদিকে সীমান্ত পার করা যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য পেট্রাপোলে যানবাহন থাকে। তবে সীমান্তে যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকায় সেই যানবাহন চালকদের পকেটও ফাঁকা।