বাংলাদেশ (Bangladesh) বার বার ভারতের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে। এবার পাল্টা সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা। কলকাতায় নষ্ট করা হল বাংলাদেশি (Bangladesh) পণ্য। শুক্রবার বাংলাদেশী সংস্থা (Bangladesh) ‘প্রাণ’-এর পণ্য রাস্তায় ফেলে নষ্ট করে হিন্দু মহাসভার সদস্যরা। এছাড়াও কলকাতা সহ ভারতীয়দের বাংলাদেশের (Bangladesh) পোশাক সহ বিভিন্ন পণ্য বয়কট করার আহ্বান জানান হিন্দু সমহাসভা।
বাংলাদেশ বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছিল। সেই বয়কটের তীব্রতা বৃহস্পতিবার বেশ কয়েক ধাপ বাড়িয়ে দেন বাংলাদেশী বিএনপি নেতা রাহুল কবীর রিজভি। তিনি প্রকাশ্যে একটি শাড়ি পুড়িয়ে দেন। তারপর তিনি দাবি করেন, শাড়িটি তাঁর স্ত্রীর। এবং এই শাড়িটি বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার তিনি বাংলাদেশীদের হয়ে উত্তেজক বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি বলেন, “একবেলা না খেয়ে থাকবো। কিন্তু ভারতের কোনও পণ্য ব্যবহার করবো না।” তবে রজিভির এই কাজ নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে। তিনি যদি এতটাই ভারত বিরোধী হবেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে এতটাই সতর্ক হবেন, তাহলে কেন তিনি তাঁর স্ত্রীকে ভারতের তৈরি শাড়ি কিনে দিয়েছিলেন। নাকি পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে ভারত বিরোধী মানসিকতাকে উৎসাহিত করার জন্য এই কাজ করছেন।
রিজভির এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শুক্রবার বাংলাদেশী সংস্থা প্রাণের পণ্য নষ্ট করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সাধারণ মানুষের কাছে বাংলাদেশি পণ্য ও পোশাক বয়কটের ডাক দেয় তারা। বাংলাদেশের তৈরি রেডিমেড পোশাক বড় বাজারে মজুত রয়েছে। এছাড়াও প্রাণ সহ বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সংস্থা ভারতে ব্যবসা করে। তাদের পণ্য ভারতের বাজারে রয়েছে। এই আন্দোলনের প্রভাব সেই পণ্যগুলোতে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় নিযুক্ত ডেপুটি হাই কমিশনার শিকদার মহম্মদ আশরাফুল রহমান ও আগরতলায় নিযুক্ত বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনার আরিফ মহম্মদকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশে।
গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবারই বাংলাদেশে ফিরে গিয়েছেন আশরাফুল রহমান। জানা গিয়েছে, আপাতত পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ওই দু’জনকে ঢাকা থেকেই কাজ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারপরে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী বিদেশ মন্ত্রক তাঁদের দুজনকে কলকাতায় ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁরা শনিবার কলকাতায় ফিরে আসছেন বলে জানা গিয়েছে।