মদনমোহন সামন্ত, কলকাতা:করোনা লকডাউন আর যশ ভ্রূকুটির জোড়া ফলায় কলকাতা পুরসভার কর্মীদের শ্যাম রাখি না কুল রাখি দশা! গত ১৯মে কলকাতা পুরসভার সদর দফতর থেকে পুর কমিশনারের জারি করা সার্কুলার ০৫ of ২০২১-২০২২ মোতাবেক আগামী সপ্তাহে “সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম – যশ” কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।
গত বছরের ২০মে আঘাত হানা আমফান ঘূর্ণিঝড়ের দুঃস্বপ্নের কথা মাথায় রেখে বিপর্যয় সামলানোর প্রাকপ্রস্তুতি হিসাবে আমফানের চেয়েও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনাময় যশ-এর মোকাবিলায় কলকাতা পুরনিগমের সমস্ত বিভাগের সকল অফিসার ও স্টাফেদের সব রকম ছুটি ও রোস্টার ।
ডিউটি পূর্ববর্তী সমস্ত সার্কুলার এবং অর্ডারকে ছাপিয়ে বর্তমান সার্কুলার অনুযায়ী সতর্কতা না ওঠা পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে। সার্কুলার জারি করামাত্র তা বলবৎ করা হয়েছে।
আর এখানেই যশ আসার আগে পুরসভার অন্দরে উঠেছে ঝড়। সে ঝড় অবশ্য সার্কুলারের বিরুদ্ধে বা প্রতিবাদে নয়। ভাত দিতে পারে না, কিল মারার গোঁসাইয়ের মত ছুটি বাতিলের সার্কুলার জারি করতে পারেন কিন্তু সংশ্লিষ্টরা পুরসভায় কি করে পৌঁছবেন সে সম্পর্কে দিশাহীনতার প্রতিবাদে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পদস্থ আধিকারিক বললেন, কর্পোরেশন বাধ্য করছে অফিসে যাওয়ার জন্য। কোভিড শৃঙ্খল ভাঙার জন্য পক্ষকালের লকডাউনে সব ধরণের গণপরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকাতে কি করে তাঁরা কর্মস্থলে পৌঁছবেন তার কোনও ব্যবস্থা পুরনিগমের পক্ষ থেকে নেই। কাউকে এ বিষয়ে জানানোর প্রয়োজন বা তাগিদ অনুভব করছে না ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।যদিও সার্কুলারে বলা নেই, তবুও তাঁরা একপ্রকার নিশ্চিত, যাঁরা পৌঁছতে পারবেন না তাঁদের মাইনে কাটা যাবে। এই বিষয়ের সুষ্ঠু সমাধান না হলে সদর দফতরে বিক্ষোভের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ঝড় উঠতে চলেছে যশ-এর আগে।