শুক্রবার রবিনসন স্ট্রিটের স্মৃতি উস্কে দিল হুগলির(Hooghly) চন্ডিতলার ঘটনা। মেয়ের পচাগলা মৃতদেহ আগলে মানসিক ভারসাম্যহীন মা। পরে পুলিশি তৎপরতায় ময়নাতদন্তের জন্য দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর খানেক আগে মৃত্যু হয়েছে গৃহকর্তার। ফলে হুগলির চন্ডীতলার কলাছড়া খানাবাটি এলাকায় মা মেয়ে নিয়ে ছিল দুজনের সংসার। মৃত ১৪ বছরের অরিত্রী ঘোষ ছিল জন্ম থেকে বিশেষক্ষমতা সম্পন্ন। প্রতিবেশীদের সাথে বেশি কথাবার্তাও ছিল না ঘোষ পরিবারের। বেশিরভাগ সময় বাড়ির মূল দরজায় থাকত তালা বন্ধ অবস্থায়।
শুক্রবার সকালে বাড়ির বাইরে থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা খবর দেয় মৃতার আত্মীয়কে। ঘটনাস্থলের ছুটে আসে কাকা। খবর যায় চন্ডীতলা থানায়। পুলিশ এসে ঘরে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ। নাবালিকা পচাগলা দেহ আগলে বসে মা। ঘরে ছড়িয়েছে দুর্গন্ধ। পরে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে পাঠায় ময়নাতদন্তের উদ্দেশ্য।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে পার্ক স্ট্রিট থানার অন্তর্গত রবিনসন স্ট্রিটে ৬ মাস দিদির মৃতদেহকে আগলে রেখেছিলেন ভাই পার্থ দে। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে চাঞ্চল্য ছড়ায় চন্ডীতলার খানাবাটি এলাকায়।